বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাউকে আলোচনার জন্য ডাকা হচ্ছে না।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা যা করি প্রকাশ্যে করি। ব্যাকডোরে আলোচনা হবে না। আলোচনা হলে প্রকাশ্যেই হবে। তবে সেই সুযোগ এখন দেখছি না। কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না।’
সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ সময় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের সংকট আমাদের দেশে নতুন নয়। কালো মেঘ ঘনীভূত হলেও তা কেটে গেছে। আমি মনে করি এ সংকট কেটে যাবে। সংবিধান পরিবর্তন করে কারও সাথে আপস করতে হবে, এমন বিপদে পড়েনি সরকার। সংবিধান প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতোই নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র আছে, নির্বাচন আছে। সরকার আছে, বিরোধী দল আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি, যার জন্য যে সংবিধান আছে সেই সংবিধান পরিবর্তন করে, কোনো বিকল্প প্রস্তাব কারো অনুকূলে আনার সুযোগ নেই।
আমরা কোনো পরিস্থিতিতে সংবিধানের প্রশ্নে ছাড় দেব না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংবিধানের মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। এর বাইরে কোনো প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করব না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে এখানেও হবে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালিত হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পঞ্চগড়ের ঘটনা খতিয়েদেখা হচ্ছে। কারা উসকানি দিয়েছে, এর মধ্যে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের নেতাও আছে। এই ঘটনায় কারা উসকানি দিচ্ছে?
তিনি আরও বলেন, এখন বিএনপি যে স্বাভাবিক পথে যেতে চায় না, তাদের আন্দোলনে ভাটা নেমেছে। সে কারণে তারা এখন নাশকতার দিকে যাচ্ছে কি-না সেটা কিন্তু আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগল কেন? একসঙ্গে এই ঘটনাগুলো ঘটছে। আর সব দোষ আওয়ামী লীগের ওপর চাপায়। ওখানে অক্সিজেন ব্লাস্ট হয়ে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে গেছে, দোষ কার? আওয়ামী লীগের। সীতাকুন্ডে কার্বন ডাই অক্সাইড আর নাইট্রোজেন একই জায়গায় রাখাতে সংঘর্ষ হয়ে ব্লাস্ট হয়েছে। দোষ কার? আওয়ামী লীগের।
সূত্র: বাসস
Array