জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নন, ভারতীয় জাতির জন্যও আদর্শ বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজেদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষ আত্মত্যাগ করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক উভয় দেশকে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেছিল।’
মার্চ মাসকে বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাস হিসেবে অভিহিত করে প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘এ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এ মাসেই জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এজন্য বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আসতে পেরে আমি গর্বিত বোধ করছি।’
ভারতীয় হাইকমিশনার দুদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভাষাগত ও ঐতিহ্যগত মিলও আগামী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে নিরবচ্ছিন্নভাবে বহমান থাকবে।’
বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে ভারতীয় এ কূটনীতিক বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা ও জনকল্যাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সমগ্র বিশ্বের কাছে অনুকরণীয়।’
এর আগে ভারতীয় হাইকমিশনার টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু ও অন্য শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেন।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনারের স্ত্রী মিসেস মনু ভার্মা, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব অনিমেষ চৌধুরী, দ্বিতীয় সচিব ভাইবাব গোল্ডন, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কাজী মাহবুবুল আলম ও টুঙ্গিপাড়ার পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল উপস্থিত ছিলেন।
Array