মাঠে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরির জন্য সাবেক পর্তুগিজ ফুটবলার জোসে মরিনহোর বেশ প্রসিদ্ধি রয়েছে। নিজের দেশের হয়ে কোচিংয়ের পর ইউরোপীয় ক্লাবগুলোতেও বেশ সাফল্যের সঙ্গে গুরু দায়িত্ব পালন করে চলছেন তিনি। বর্তমানে রয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমা’র ম্যানেজারের দায়িত্বে। একে তো দল হেরেছে, তার ওপর মেজাজ হারিয়ে তাকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। আসন্ন জুভেন্তাসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে যা মরিনহোকে আরও তাতিয়ে দিয়েছে। ফলে রেফারিকে হুমকি দিতেও ছাড়লেন না তিনি!
মঙ্গলবার রাতে সিরিআর ম্যাচে টেবিলের তলানিতে থাকা ক্রেমোনেসের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে তার দল। হারের ম্যাচে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে মাত্র ৪৭ মিনিটেই রোমা কোচের লাল কার্ড। রেফারির এক সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ করতে গিয়ে চতুর্থ রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। যার জেরে বহিষ্কার হতে হয় তাকে। যা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না মরিনহো।
এদিন ম্যাচের ১৭তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে রোমা। এরপর দীর্ঘ সময়ের চেষ্টাতেও সফল হতে পারেনি রোমা। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দু’দল। বিরতিতে থেকে ফেরার পর আরও মরিয়া হয়ে থাকে রোমা। যার রেশ ফুটে ওঠে ম্যানেজার মরিনহোর আচরণে। দলের স্কোর তো দূরে থাক, মরিনহোর অনুপস্থিতি শিষ্যদের আরও বাড়তি চাপে ফেলে দেয়।
পরে ম্যাচের ৭১তম মিনিটে সমতা ফিরিয়েছিলেন রোমা ফুটবলার লিওনার্দো স্পিনাজ্জোলা। কিন্তু সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৮৩তম মিনিটে পেনাল্টি পায় ক্রেমোনেস। সেখান থেকে দানিয়েল সিওফানির সফল স্পটকিকের গোলে হেরেই মাঠ ছেড়েছে মরিনহোর শিষ্যরা।
ম্যাচ হারে টেবিলেন পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে রোমা। তবে বিপদের কথা লাল কার্ডের কারণে জুভন্তাসের বিপক্ষের ম্যাচে ডাগ-আউটে থাকছেন না মরিনহো। যদিও জুভেন্তাস পয়েন্ট ও পজিশনে রোমার চেয়ে পিছিয়ে আছে। তবে তাদের সাম্প্রতিক পারফর্ম বেশ ভালো। সে কারণেই রেফারির ওপর আরও ক্ষেপে গেলেন মরিনহো।
এই স্পেশাল ওয়ান রেফারিকে মামলার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমি আবেগপ্রবণ, কিন্তু পাগল নই। আমি যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানাই, তাতে প্রথমে কিছু ঘটতে হবে। আমি আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি সেটা বুঝতে হবে। পিকিনিনি (রেফারি) আমাকে একটি লাল কার্ড দিয়েছেন, কারণ দুর্ভাগ্যবশত চতুর্থ রেফারি আমাকে কী বলেছেন তা বোঝার ক্ষমতা তার নেই।’
এদিকে চতুর্থ রেফারি সেররার ওপর আঙুল তোলায় সেই তর্কের অডিও সংগ্রহের কথা বললেন মরিনহো, ‘আমার ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো একজন চতুর্থ কর্মকর্তা আমার সঙ্গে সবচেয়ে বাজেভাবে কথা বলেছেন। এটা অযৌক্তিক ছিল। খেলা শেষে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলাম। আমাকে যখন বিদায় করা হয়, পিকিনিনি আমাকে সেররার কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন। আমাকে অডিও রেকর্ডিং আছে কি-না তা খুঁজে বের করতে হবে। আমরা রোববার জুভেন্টাসে খেলব এবং তিনি তুরিন থেকে এসেছেন আমি সে বিষয়ে কিছু বলছি না।’
Array