গত কয়েক সপ্তাহের তীব্র শীত ও শুষ্ক আবহাওয়ার পর শঙ্কা দেখা দিয়েছে, এ বছর আবারও খরার কবলে পড়তে পারে ইতালি। ২০২২ সালে তীব্র খরার কারণে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হয়েছিল।
পরিবেশবিদ এবং বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, আল্পসে এবার সাধারণের তুলনায় কম তুষারপাত হয়েছে। যা খরার শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা এমন সময় এ সতর্কতা দিলেন যখন ইতালির বিখ্যাত ভেনিস শহরের আঁকাবাঁকা ছোট খালগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। অন্যসময় ভেনিসের খালগুলোতে বন্যার পানি ঢোকার কারণে ভোগান্তির সৃষ্টি হলেও এবার পানির অভাবে বিখ্যাত ছোট নৌকা গোন্দোলা, ওয়াটার ট্যাক্সি এবং অ্যাম্বুলেন্সগুলো চলতে পারছে না।
খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ার জন্য কম বৃষ্টিপাত, ভেনিসে বাতাসের উচ্চ চাপ, পূর্ণিমা এবং সমুদ্র উচ্চতাকে দায়ী করা হচ্ছে।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) লিগামবিয়েন্তে নামে একটি পরিবেশবাদী গোষ্ঠী জানিয়েছে, ইতালির নদী-নালাগুলো প্রচণ্ড পানির অভাবে ভুগছে। বিশেষ করে দেশটির উত্তর দিকের অবস্থা খারাপ।
ইতালির সর্ববৃহৎ নদী ‘পো’, যেটি আল্পস থেকে বয়ে উত্তর-পূর্ব দিকের আদ্রিয়াকের দিকে বয়ে গেছে। সেই পো নদীতে এখন সাধারণ সময়ের চেয়ে ৬১ শতাংশ কম পানি রয়েছে বলে জানিয়েছে লিগামবিয়েন্তে।
খরা পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করার পর গত বছর পো নদীর আশপাশের অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। ওই পো নদীর ওপর নির্ভর করেই ইতালির এক তৃতীয়াংশ কৃষি পণ্য উৎপাদিত হয়। গত বছর পো নদীতে গত ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরা দেখা যায়।
ইতালির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বর্তমান এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ইতালিতে অন্তত ৫০ দিন মুষলধারে বৃষ্টির প্রয়োজন।
জানা গেছে, পো নদী ছাড়াও দেশটির উত্তরাঞ্চলের গার্দা লেকের পানি রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে। লেকের পানি এখন এতটাই কম যে এখন সান বিয়াগিওর ছোট দ্বীপে হেঁটেই যাওয়া যাচ্ছে।
তবে আশার কথা হলো, আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই আল্পসে তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র: সিএনএন
Array