আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে এসে প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেছেন, আমরা সাড়ে সাতটার সময় বলাকা ভবন থেকে প্রভাতফেরি মিছিল নিয়ে এসেছি। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সামনে থেকে আমরা সকাল ৮টা থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম এখানে বারবার উচ্চারণ করা হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেদী ত্যাগ করেনি, অযথা সময় নষ্ট করেছে। বিষয়টি এখানে দায়িত্বরত পুলিশ-প্রশাসনের ব্যর্থতা। মহান ভাষা দিবসেও এখানে দলবাজি হয়েছে, এটা দুঃখজনক।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার পর ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশের জনগণ রায় দিয়েছে যে, তারা গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করেছে। তারা এ দেশকে মেরামত করতে পারবে না। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে আজ জনজীবন বিপন্ন। এ থেকে জনগণ মুক্তি চায়। ভাষা দিবসে আমাদের দাবি অনতিবিলম্বে জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণ করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। অবৈধ সংসদ বাতিলের পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে।
তিনি বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আমাদের ওপর জোর করে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেসময় ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং যে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদ করেছিল, তাদের সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষা পেয়েছি। সেই ভাষা আন্দোলন ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন। সেসময় ভাষা আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও চেতনায় ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। এছাড়া উদ্দেশ্য ছিল জনগণের দ্বারা সরকার গঠন করা ও সেই সরকার জনগণের সেবা করবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি- স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও আজকে যারা দেশ পরিচালনা করছে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে একদলীয় সরকার প্রথা কায়েম করেছে। যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না সে দেশে মানবাধিকার থাকে না। আজকে আমাদের দেশে মানবাধিকার নেই। আমাদের দেশের অর্থনীতির লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস প্রায়। এ অবস্থায় আজ আমরা ভাষা দিবস পালন করছি।
খন্দকার মোশারফরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানাতে আসা এ প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আব্দুস সালাম, হাবিবুন নবী খান সোহেল, মাহবুব উদ্দীন খোকন, খায়রুল কবির, শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আমিনুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
Array