নিজস্ব প্রতিবেদক; দেশের অর্থনীতিতে বাংলাদেশের রপ্তানি পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে। বৈদেশিক বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স সরবরাহের গার্মেন্টস শিল্প রয়েছে প্রথম স্থানে।
পোশাক খাতের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ও আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে যেমন শ্রমিকদের পরিশ্রম ও ঘাম মিশে আছে ঠিক তেমনি মালিকদেরও অবদান কম নয়।
মালিক শ্রমিকের এই বন্ধন ও ভালোবাসার প্রতিফলন আমরা প্রায়ই দেখতে পাই। এরই ধারাবাহিকতা ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখা যায় ঈশিতা গার্মেন্টস ও ঈশিতা এ্যাপারেলস নামের একটি পোশাক কারখানায়।
রবিবার(২০ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকেই ধামরাইয়ের কালামপুরের একটি পিকনিক স্পটে প্রতিষ্ঠাটির মালিক ইসহাক মিয়া শ্রমিকদের নিয়ে বন ভোজনের আয়োজন করেন।
প্রায় চারশো শ্রমিক নিয়ে এই আয়োজনে ছিলো সকালের নাস্তায় খিচুড়ি, দুপুরের পোলাও রোস্ট ও গরুর রেজালা এবং বিকেলের নাস্তা। এছাড়াও নানা রকমের খেলাধুলা যেমন চেয়ার খেলা,বালিশ খেলা,হাড়ি ভাঙ্গা,ক্রিকেট এবং র্যাফেল ড্র। র্যাফেল ড্রর প্রথম পুরষ্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে ৩২” এলইডি টেলিভিশন দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে মোবাইল ফোন ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে ছাতা। এছাড়াও আরও অনেক রকমের সান্ত্বনা পুরষ্কার তো ছিলোই।
এমন আয়োজনে শ্রমিকদের মধ্যে দেখা গেছে বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস আবেগ ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তারা জানান তাদের প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সু-সম্পর্ক তৈরি করতে প্রতিষ্ঠানের মালিক জনাব ইসহাক মিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। তার বন্ধুসুলভ আচরণ শ্রমিকদের কাজে আরও উতসাহ যুগিয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের মালিক ইসহাক মিয়া বলেন আসলে আমি চেষ্টা করি সারাবছর আমার শ্রমিকরা ভালো থাকুক। তারা ভালো থাকলেই আমিও ভালো থাকবো। যদি কোন শ্রমিক অসুস্থ থাকে বা বিপদে পরে তখন সেটা আমাদেরও সমস্যা বা চিন্তার বিষয় আমি মনে করি। ইচ্ছে থাকা সত্বেও সারাবছর তো আর এমন আনন্দ করা সম্ভব হয়না। তাই বছরের কয়েকটি দিন শ্রমিকদের সাথে এভাবে আনন্দে কাটাতে চাই। তাদের আনন্দ দেখে আমারও আনন্দ হয়। এভাবেই থাকতে চাই সবসময়।
Array