খুলনা একুশে বইমেলার ১৩ দিন অতিবাহিত হয়েছে। মাঘের শেষ দিনে বইমেলায় ছিল উপচেপড়া ভিড়। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতিতে মেলা প্রাঙ্গণ ছিল মুখরিত। বইয়ের স্টলগুলোতে বেড়েছে বিক্রি। এদিন খুলনার বইমেলা প্রাঙ্গণে আসেন দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিণী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. ইয়াসমীন হক।
বইমেলার মঞ্চে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞান ও চিন্তার বিকাশ সাধনের জন্য বই পড়ায় অধিকতর আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানান। ঢাকার পরেই খুলনায় মাসব্যাপী বইমেলা আয়োজিত হয় জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের খুলনার উপপরিচালক মো. ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র। স্বাগত বক্তব্য দেন একুশে বইমেলার সদস্য সচিব এবং বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার, খুলনার উপপরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান।
বইমেলার মঞ্চে বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন খুলনা পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ন্যাশনাল ডিবেটিং ফেডারেশনের আয়োজনে রম্য বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বইমেলা মঞ্চের সান্ধ্যকালীন আয়োজনে ছিল পরপর দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনা। প্রথমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে ‘নজরুল সঙ্গীত শিল্পী পরিষদ খুলনার শিল্পীরা। সর্বশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনায় ছিল ‘জ্ঞানবিকাশ সঙ্গীত একাডেমির শিল্পীরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন তরিকুল ইসলাম এবং সাবিত্রী গাইন । অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন সাইফুল ইসলাম মল্লিক।
Array