তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের। হামলায় অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক মো. সজল, বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিবুল্লাহ, শেরপুর উপেজলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রকি, মাহামুদুল হাসান শাওন, হাসিবুল, আবু সাইদ ও তানিনসহ ১৮ জন। এর মধ্যে রাকিবুল হাসান রকি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বগুড়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান পলাশ জানান, সকালে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শহরের সাতমাথায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। সংক্ষিপ্ত মানববন্ধন শেষে সাতমাথা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইয়াকুবিয়ার মোড়ে যাওয়ার পর শহর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর প্রথম হামলা চালান। তখন দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করা হয়। সেখান থেকে পিটিআই মোড় ও রহমান নগর যাওয়ার পর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহার নেতৃত্ব আরও দুই দফায় হামলার ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, হামলার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিসোটা ও বাঁশ ছিল। আমাদের নেতাকর্মীদের তারা রাস্তায় ফেলে অমানুষের মতো পিটিয়েছে। শেরপুরের সাধারণ সম্পাদক রকির মাথায় বাঁশ দিয়ে গুরুতর আঘাত করা হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। ছাত্রলীগের কেউ তাদের ওপর হামলা করেনি। তবে শুনেছি তারা সাতমাথায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়েছে।

বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে কিছু জানা নেই। তারা কোনো অভিযোগ করেনি।