স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নতুন সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১ হাজারের বেশি পথচারী আসা-যাওয়া করেন। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক না থাকায় জোয়ারে তলিয়ে যেত গ্রামটি। এছাড়া যাতায়াতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হত ওই এলাকার মানুষদের। তাই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নিজের ৩০ শতাংশ জমি ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ করেছেন কৃষক কামাল। এখনো এই রাস্তা সম্পূর্ণ শেষ করতে আরও ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন।
কুমিরমারা গ্রামের বাসিন্দা খলিল প্যাদা বলেন, এই সড়কটি জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকতো। আমার প্রতিবেশী কামাল সড়কটি নিজ উদ্যোগে সংস্কার করে দুই পাশে মাটি দিয়ে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করেছে। আমাদের অনেক উপকার হয়েছে, আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। এই সড়কটির জন্যে আমাদের চলাচলে অনেক সুবিধা হয়েছে।
কুমিরমারা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও কামাল হোসেনের চাচা সোহরাব মাঝি বলেন, কিছুদিন আগেও একজন অসুস্থ মানুষ এই পথ দিয়ে যাওয়ার পথে পড়ে গিয়ে আরও বেশি ব্যথা পায়। তারপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। আমাদের এলাকার মানুষদের কষ্টের কথা ভেবে কামাল এই সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেন তাও নিজের জমি বিক্রির টাকায়। তার এই কাজে আমরাও শারীরিকভাবে শ্রম দিয়ে সহযোগিতা করেছি।
কামাল হোসেন বলেন, মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখলে আমার অনেক কষ্ট হয়, আমার টাকা-পয়সা তেমন নেই তবুও কৃষি জমি বিক্রি করে এই সড়ক নির্মাণ করেছি। হাজার হাজার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়েছে। আমি হয়তো বেশিদিন বেঁচে থাকব না কিন্তু আমার এই সড়ক সারাজীবন মানুষের কল্যাণে থেকে যাবে। আমার ইচ্ছা আছে এই অবহেলিত মানুষের জন্য কিছু কাজ করার। যদিও আল্লাহ আমাকে তেমন বড়লোক করেননি তবুও যা কিছু আছে তা দিয়ে আমি এই কাজ করে যাব। এই সড়কের কাজ এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। এখনো প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার ঘাস লাগাতে হবে, দুপাশে গাছ লাগাতে হবে অনেক কাজ বাকি রয়েছে। আমার এই সড়ক সংস্কার কাজে এলাকার মানুষরা সবাই শ্রম দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমি কামাল হোসেনকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। তিনি জনসাধারণের উপকারের জন্য এই সড়কটি রিপেয়ারিং করেছেন। এই কাছে এলাকার মানুষের অনেক উপকার হয়েছে। আমার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানাই।