এতে বলা হয়, চসিকের প্রধান কার্যালয়ের চতুর্থ তলার ৪১০ নম্বর কক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানীর ওপর হামলার ঘটনায় ১২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জড়িত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। হামলাকারীরা চসিকের ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সরকারি প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত এ ধরনের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করা হলো।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের মেসার্স মাহমুদা বিল্ডার্স ও মেসার্স এস জে ট্রেডার্স, সঞ্জয় ভৌমিকের মেসার্স বাংলাদেশ ট্রেডার্স, মোহাম্মদ ফেরদৌসের মেসার্স মাসুদ এন্টারপ্রাইজ, সুভাষ মজুমদারের মেসার্স জয় ট্রেডার্স, মো. হাবিব উল্লাহ খানের মেসার্স খান কর্পোরেশন, মো. নাজিম উদ্দিনের মেসার্স নাজিম অ্যান্ড ব্রাদার্স, মো. নাজমুল হোসেনের মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজ, মো. ইউসুফের মেসার্স ইফতেখার অ্যান্ড ব্রাদার্স, আশীষ কুমার দে ও হ্যাপী দের মেসার্স জ্যোতি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স দীপা এন্টারপ্রাইজ এবং আলমগীরের মেসার্স তানজিল এন্টারপ্রাইজ।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়রের নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২৯ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরের খুলশী থানার টাইগারপাস এলাকায় চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে একদল ঠিকাদার প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানীর ওপর হামলা করে। এ দিন অভিযুক্তরা প্রকল্প পরিচালকের অফিস চসিকের চতুর্থ তলার ৪১০ নম্বর কক্ষ ভাঙচুর করে। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গোলাম ইয়াজদানীকে পিঠিয়ে রক্তাক্ত করে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে চসিকের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এতে সাহাবউদ্দিনসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।