শুক্রবার আসরের শেষ পর্বের মঞ্চায়ন হয়েছে মিরপুরে। যেখানে খুলনার বিপক্ষে লড়ছে সাকিবের বরিশাল। আর এ ম্যাচে প্রিয় দলকে উৎসাহ যোগাতে বরিশাল থেকে মিরপুরে এসেছেন প্রায় ৬০ জন দর্শক। জানা গেছে, তারা স্থানীয় জয়রামপটি এডুকেশনার স্পোর্টিং এন্ড কালচারাল ক্লাবের পক্ষ থেকে ঢাকায় এসেছেন।

কথা বলে জানা গেছে, ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে অধিকাংশই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের ভক্ত। কেউ কেউ বলছেন প্রিয় সাকিবের সঙ্গে একবার দেখা করতে চান। জানাতে চান সাকিবের প্রতি তাদের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। আবার শাহাদ নামের এক ভক্ত জানালেন সাকিব তার কাছে স্বপ্নের নায়ক। এসব ভক্তরা প্রথমবারের মতো স্টেডিয়ামে বসে সাকিবদের খেলা দেখতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত।

যদিও এতদূরের পথ পেরিয়ে আসাটা মোটেও সহজ ছিল না এই সমর্থকদের জন্য। বরিশাল থেকে মিরপুর নানা চরাই উৎরাই পার করে এই পর্যন্ত আসতে হয়েছে তাদের। বেশ আবেগতাড়িত হয়ে ক্লাবের সভাপতি হাফিজ দারিয়া ঢাকা পোস্টকে জানালেন সেসব কথা।

তিনি বলেন, ‘আমরা বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলা থেকে আসছি খেলা দেখার জন্য। আমরা এখানে আসছি খেলা দেখার জন্য এবং আমাদের ক্লাবকে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য। আমরা প্রায় ৬০ জন এসেছি এখানে যাদের বেশিরভাগই এখনও খেলাধুলায় জড়িত। আমরা খুবই আনন্দিত একসঙ্গে এখানে আসতে পেরে, খেলা দেখবো একসঙ্গে। এত বড় প্যানেল বোধহয় এর আগে আসেনি এত দূর থেকে! আমরা খুবই আনন্দিত, খেলা দেখার জন্য আমাদের তর সইছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট টুর্নামেন্টও আয়োজন করি যেটা আমাদের উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এবার কিছু সমস্যা ও আর্থিক সমস্যার কারণে আয়োজন করতে পারি নাই। আমাদের আক্ষেপ যে আমাদের একটা মাঠ নেই। এত উদ্যোক্তা, আমাদের খেলোয়াড়রা এত ভালো খেলে, উপজেলায় আমরাই সেরা দল অথচ আমাদের একটা মাঠ নেই। আমাদের একটি মাঠের প্রত্যাশা। যেন আমাদের একটি মাঠের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।’

নিজেদের এলাকায় একবার বিপিএল হোক দাবি করে ক্লাবটির সভাপতি বলেন, ‘বরিশালে একটা স্টেডিয়াম আছে কিন্তু সেখানে কোনো খেলা দেওয়া হয় না। আমাদের প্রত্যাশা, বিসিবির কাছে দাবি আগামী বিপিএল যেন আমরা বরিশাল বসে দেখতে পারি।’

এছাড়া সাকিবের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার প্রিয় খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। আমরা সাকিবের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই, উনাকে আমাদের ক্লাব সম্পর্কে জানাতে চাই, দেখাতে চাই। যদি উনি আমাদের ক্লাব সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করে তাহলে সেটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া হবে, আমরা খুবই উৎসাহিত হবো।’

ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে রাকিশ নামের একজন বলেন, ‘বরিশালের মালিকের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমাদের ক্লাব থেকে অনেক খেলোয়াড় বয়সভিত্তিক লেভেলে খেলে থাকে। এছাড়া আরও অনেকে বিকেএসপিতে সুযোগ পেয়েছে, লিগে খেলে। আমরা যদি একটু সাপোর্ট পাই তাহলে আমরা আরও বড় কিছু করতে পারবো।’

বরিশাল থেকে আসা রাইহান রহমান বলেন, ‘আমাদের বাড়ি বরিশালের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যেখান থেকে ছয় কিমি দূরে বাস স্ট্যান্ড। সকাল সাতটায় ভ্যানও পাওয়া যায়নি ঠিকমত, হেঁটে আসতে হয়েছে। এটা বাঘধা ইউনিয়নের জয়রামপটি গ্রামে অবস্থিত।’