মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে মিরপুরে পল্লবী সিটি ক্লাব মাঠে মিরপুর মুক্তির উৎসব-২০২৩ অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা করেন তিনি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একটি সুস্থ ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে। সাংস্কৃতিক চর্চা আমাদের জীবনের অংশ। মিরপুরের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ করছি আমাকে জায়গার সন্ধান দিন। কোথাও অবৈধ দখল হওয়া জমি থাকলে আমাদের জানান। মিরপুরে আধুনিক মানের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করে দেব।

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, বাঙালি জাতি খেলা প্রিয়, সংগীত প্রিয়, সংস্কৃতি প্রিয়। ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলা ও মানসিক বিকাশের জন্য আমরা মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করছি। কিছুদিন আগে মিরপুর প্যারিস রোড সংলগ্ন খেলার মাঠটি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করেছি। খাল উদ্ধার করেছি। দখলদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। কেউ আর অবৈধভাবে মাঠ ও খাল দখল করে রাখতে পারবে না। দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

মিরপুরের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, একসময় মিরপুর অবহেলিত ছিল। বর্তমানে মিরপুরে মেট্রোরেলসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কালশীতে ফ্লাইওভারের কাজ প্রায় শেষ। দ্রুতই এটি উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশব্যাপী ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

মেয়র আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই শহর পেয়েছি। আমাদের প্রত্যেককে এই শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা যাবে না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য সুস্থ নগরী রেখে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, ডিএনসিসির ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি প্রমুখ।