বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বেশ পরিচিত বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। এর জেরে তার টুইটার হ্যান্ডেল মুছে দেওয়া হয়। দীর্ঘ প্রায় ২০ মাস পর আবারও টুইটারে ফেরেন কঙ্গনা। ফিরেই স্বরূপে আবির্ভূত হন তিনি। তুলে আনেন জমে থাকা কথার ঝাঁপি। শুরুতে ‘পাঠান’ নিয়ে তোপ দাগালেও পরবর্তীতে প্রশংসা করেন ছবিটির।
‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’-এর পর আবারও পরিচালকের চেয়ারে কঙ্গনা। শুধু পরিচালনাই নয়, প্রযোজক হিসেবে অর্থ লগ্নিও করেছেন। হ্যাঁ, বলা হচ্ছে তার পরবর্তী সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’-এর কথা। যেখানে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রের অভিনয় করেছেন তিনি।
সম্প্রতি ছবিটির কিছু স্থিরচিত্র সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করে জানিয়েছিলেন একাধিক বাধার সম্মুখীন হওয়ার কথা। ডেঙ্গুতে ভুগেছেন, শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও শুটিং চালিয়ে গেছেন অভিনেত্রী। এ তো গেল শারীরিক বাধার কথা। সবচেয়ে বড় ঝামেলায় পড়েছিলেন আর্থিকভাবে। ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমার জন্য নিজের সমস্ত সম্পত্তি বন্ধক রেখেছেন বলেও জানান কঙ্গনা। তারপরও দমে যাওয়ার পাত্রী নন পদ্মশ্রী পাওয়া এই অভিনেত্রী।
শুরু থেকেই ক্যারিয়ার নিয়ে সংগ্রাম করে গেছেন ‘কুইন’ খ্যাত অভিনেত্রী। শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে গেছেন দ্বিগুণ প্রত্যয়ে। নিজের অতীত স্মরণ করে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেন, ‘প্রতি মুহূর্তেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে গিয়েছি। যখন মুম্বাইয়ে পা রেখেছিলাম, সঙ্গে ছিল মাত্র ৫০০ টাকা। তাই যদি সর্বস্বান্তও হয়ে যাই, আবার শক্তি সঞ্চয় করে ঘুরে দাঁড়াতে পারব, সেই সাহস আছে। টাকা-পয়সা, সম্পত্তি আমার কাছে বড় নয়। এ সবের কোনো অর্থ নেই।’
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত টানা ২১ মাস ভারতে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিতে সেই সময়টাই তুলে ধরা হয়েছে। এতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন অনুপম খের, শ্রেয়াস তালপাড়ে, মাহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমন, সতীশ কৌশিক প্রমুখ।
Array