চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আব্দুল হালিমের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাবুল আক্তার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করছিলেন। শুনানি শেষে আদালত নামঞ্জুর করেছেন। আমরা বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলে আবেদন করেছিলাম। আদালত সেটি মঞ্জুর করে প্রসিকিউশান শাখায় কথা বলার অনুমতি দিয়েছেন।
এর আগে, মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে গেল বছরের ১৭ অক্টোবর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমা সুলতানা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তাতে আসামি করা হয় সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে।
মামলাটিতে ইতোমধ্যে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন নিয়েছিলেন বাবুল আক্তারের বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু। এছাড়া আসামি ইলিয়াস হোসাইন মামলাটিতে পলাতক রয়েছেন।
আলোচিত মামলাটির এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। সেই ভিডিওতে বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন তিনি। ভিডিওতে নাইমা সুলতানার সম্পর্কেও বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়া হয়। এই ঘটনার জেরে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার বাদী হয়ে একই আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় প্রথমে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। তবে আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় বাদীকে প্রধান আসামি করে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। এর আগে দ্বিতীয় মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
Array