জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী;
নীলফামারীর জলঢাকায় জুয়া খেলার অপরাধে পৌর কাউন্সিলরসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার গভীর রাতে জুয়া খেলার সময় ৫ হাজার ১৩০ টাকা ও জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ তাদের আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিল হাবিবুর রহমান মন্টু (৫২), ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মতলেবুর রহমান (৩৮), মৃত মজিদের ছেলে সাইফুর রহমান পিকু (৪২), মৃত নরেশ রায়ের ছেলে তাপস রায় (৪১), মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (৫০), মৃত সফি উদ্দিনের ছেলে রহিম(৫২), মৃত রাজ্জাক মাস্টারের ছেলে রেজাউল করিম রাজু। তাদের সবার বাড়ি জলঢাকা পৌরসভার মাথাভাঙ্গা এলাকায়।
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জলঢাকা পৌরসভার মাথাভাঙ্গা এলাকার ভাড়া বাড়িতে রেজাউল করিম রাজু কৌশলে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে জুয়ার আসর বসাতো। সোমবার রাতে এমন খবরের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে টাকার বিনিময়ে তাস দিয়ে জুয়া খেলা অবস্থায় দুজন পৌর কাউন্সিলরসহ সাতজনকে আটক করে।
নীলফামারী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখেরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন যাবত কৌশলে বিভিন্ন সময় বিভিন্নস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে জুয়া খেলে আসিতেছিল। তাদেরকে গ্রেপ্তারে এলাকার লোকজন ডিবি পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দুপুরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।