অবৈধ রাষ্ট্র ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও একত্রে ছবি প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমাকে নিয়ে সরকার প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। সরকার অনুগত গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে এ কাজ করেছে। বিদেশ থেকেও আমি স্পষ্ট করেছি এ ধরনের কোনো মিটিংয়ে আমি যাইনি, যেতেও চাই না। অথচ ছবি এডিট করে বানিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এর কোনো সত্যতা নেই।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডের দলীয় কার্যালয়ে তার কাতার, দুবাই ও সৌদি আরব সফর এবং দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, সরকার আমাদের ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে প্রচার করতে চায়। সরকারের প্রোপাগান্ডা দল সিআরআই এ ধরনের কাজ করতে পারে বলে আমাদের ধারণা। সরকার ইজরায়েল থেকে আড়ি পাতার যন্ত্র কিনেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বরং আপনাদের প্রশ্ন করা উচিত বাংলাদেশের ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার-এনটিএমসি ইজরাইল থেকে যে গোয়েন্দা নজরদারি ডিভাইস কিনেছে, সেটি তারা কীভাবে করেছে।
নুর আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটা গুরুতর ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রটি ছিল আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে। যাতে আমি দেশে আসতে না পারি, সে বন্দোবস্ত করতে চেয়েছিল। তারা এ ষড়যন্ত্র করে তাদের নিয়ন্ত্রিত ও তাদের অনুগত মিডিয়ার মাধ্যমে আমার বক্তব্য না নিয়ে প্রতিনিয়ত সিরিজ প্রতিবেদন করে প্রচার করেছে।
নুর বলেন, দুবাইয়ে দেশের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সদ্য বিদায় হওয়া আমলারা টাকা পাচার করেছে। আমার কাছে ১৭ জনের তথ্য আছে। আমি অর্থপাচারকারীদের তথ্য দিতে খুব একটা আগ্রহী নই। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবে না। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন শহরে তারা কয়েক হাজার কোটি বিনিয়োগ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, আবু হানিফ, সাদ্দাম হোসেন, মালেক ফরাজী, যুগ্ম সদস্যসচিব মশিউর রহমান, তারেক রহমান, ফাতেমা তাসনিম, সদস্য শহিদুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সদস্য-সচিব নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
Array