বৈচিত্র্যময় কণ্ঠের যাদুতে গান সুরেলা হয়। আর শ্রোতার কর্ণকুহরে বেঁচে থাকে আমৃত্যু। আজকাল যেমন গানের কথায় সেই রিদমিক ব্যাপারটা পাওয়া মুশকিল তেমনি সুর আর কণ্ঠে! এমন যখন গানের বাজার তখন গীতিকবি লুৎফর হাসান আবিস্কার করেছেন আফরোজা রুপা নামক এক বৈচিত্র্যময় কণ্ঠধ্বনীর যে কারণে আত্মবিশ^াসের পারদটাও তুঙ্গে!
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’খ্যাত কণ্ঠশিল্পী লুৎফর। তিনি লিখেছেন- ‘জীবনে অনেক নতুন প্রতিভা নিয়েই আমি কাজ করেছি। কাজ করেছি অভিজ্ঞজনদের নিয়েও। এক্ষেত্রে গীতিকার, সুরকার, শিল্পী এবং মিউজিক কোম্পোজারও আছেন। কে মনে রেখেছে, কে মনে রাখে নাই, সেসব আর ভাবি না। এখন ভাবনা একটাই, এমন একটা নতুন কিছু নিয়ে কাজ করব, যে প্রকৃত প্রতিভা। যে কোনও প্লাটফর্ম থেকেও আসেনি।’
“এরকম এক প্রতিভার নাম ‘আফরোজা রুপা’। সে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে অনেক দক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী। অন্য অনেকের চেয়ে তার কণ্ঠ একেবারেই ভিন্ন রকম। তার একক গান যাকেই শুনিয়েছি, তিনিই বলেছেন ‘এই কণ্ঠ কি এই দেশের?’ ফলে আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজ উদ্যোগে গত ছয় মাসে তার অনেকগুলো গান প্রস্তুত করি। গানগুলোর সাথে অনেক মেধাবী মানুষ জড়িত। আমি চাই না, ধর মার কাট টাইপের কিছু করতে। এবারের চ্যালেঞ্জ এরকম ছিল, এই কণ্ঠ নিয়ে শতভাগ সুবিচার করতে চাই। পাশাপাশি এই কণ্ঠ যেন বাংলা গানে অবদান রাখতে পারে, তার স্বাক্ষর রাখতে চাই।”
গীতিকার লুৎফর হাসানের সঙ্গে আফরোজা রুপা
জানা গেছে, লুৎফর হাসানের কবিতা ‘এমন ভালোবাসবো তোমায়, রাখবো এমন হাহাকারে/ আমায় ভুলে যাবার পরেও বাঁচবে স্মৃতির অত্যাচারে’- এমন কথায় গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন শান সায়েক। শুভব্রত সরকারের ভিডিও নির্মাণে গানটি প্রকাশ পাবে ১২ জানুয়ারি ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে।
এ ব্যাপারে লুৎফর জানান- ‘অনেক কণ্ঠেই গানটা নিয়ে নিরীক্ষা করা হয়েছিল। মন ভরছিল না। রুপা গানটা গাওয়ার পর আমরা মোটামুটি ভেসে গেলাম।’
এদিকে লুৎফর হাসানের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন ধ্রুব গুহু। তার বরাত দিয়ে তিনি লিখেছেন- “অনেকগুলো গান থেকে সবচেয়ে প্রিয় এই গানটা শোনাই শ্রদ্ধেয় ধ্রুব গুহ দাদাকে। দাদা এই দেশের অনেক নতুনকেই পরিচয় করিয়েছেন। এই কণ্ঠ বহুদূর থেকেও বহুদূর যাবে, এরকম একটা কথা বলে দাদা শুধু বললেন ‘এই প্রতিভার যত্ন নেয়া আমাদের দায়িত্ব’।
Array