আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির যুগপৎ ফুটপাত কেন্দ্রিক। তিনি বলেন, আন্দোলন পল্টনে মোটামুটি একটা সমাবেশ হয়েছে। ১২ দলীয় জোট দেখলাম বিজয় নগরে সমাবেশ করছে, সব মিলিয়ে ২৪ জন। তারা বসে আছে ফুটপাতের ওপর, মঞ্চও সেটা শ্রোতাও সেখানেই, সবাই ফুটপাত কেন্দ্রিক।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন গণ অবস্থান থেকে সহিংসতা করতে পারে দাবি করে তা প্রতিহতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বিএনপিসহ সমমনা যুগপৎ আন্দোলনসহ সকল কর্মসূচি ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ, কোনো বিরোধী শক্তি আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
বিএনপির আন্দোলনকে ভুয়া দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে (বুধবার) খবর জানেন, পল্টনে মোটামুটি একটা সমাবেশ হয়েছে। ১২ দলীয় জোট দেখলাম বিজয় নগরে সমাবেশ করছে, সব মিলিয়ে ২৪ জন। ৭ দলীয় জোট প্রেসক্লাবের সামনে চেয়ার পেতে বসে আছে, মঞ্চে ২০ জন সামনে সাংবাদিকসহ আরও ১৫ জন। ১টা পর্যন্ত ৩ দল উপস্থিত ছিল, চার দল নেই। ৭ দলীয় ঐক্যজোট তার পর ১২ দল বিএনপির সমমনারা দেখলাম। ওই এলাকা (পল্টন) জুড়েই আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বসে আছে ফুটপাতের ওপর, মঞ্চও সেটা শ্রোতাও সেখানেই, সবাই ফুটপাত কেন্দ্রিক। তার পরে এলডিপি দেখলাম সেই দৃশ্যপট, কয়েকজন হাতে গোনা বসে আছে। ৫৪ দল আজকে একজন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। কী হবে? ঘোড়ার ডিম পাড়বে। ৫৪টা ঘোড়ার ডিম পাড়বে, ৫৪টি ঘোড়ার ডিম পাড়বে ৫৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। ভুয়া
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গণতন্ত্রের বস্ত্রহানি ঘটবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রকে আবার ক্ষমতা পেলে তারা ধ্বংস করবে। এই দেশের গণতন্ত্র বাঁচবে না, তারা ক্ষমতায় আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় আসলে স্বাধীনতার আদর্শ বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় আসলে গণতন্ত্রের বস্ত্রহানি ঘটবে। এই অপশক্তি জঙ্গিবাদের পৃষ্ট পোষক, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্টপোষক।
এ সময় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং উত্তর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করছে। আমি কোনো কোনো অনলাইনে দেখলাম যে পাল্টা পাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি কেন? ১০ জানুয়ারি তো বিএনপির হৃদয়েও নেই চেতনাতেও নেই। ১০ জানুয়ারি তারা করেনি।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, যারা স্বাধীনতাকে নিয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে রাজপথে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে পঞ্চমবারের মত শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করব।
বিএনপি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে দাবি করে কামরুল ইসলাম বলেন, তারা অনির্বাচিত সরকার চায়। তাদের প্রতিহত করা হবে।
বাংলাদেশে কোনো অপশক্তির জায়গা হবে না উল্লেখ করে আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির সঙ্গে দেশের জনগণ নেই, তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা হলো সাম্প্রদায়িক অপশক্তি।
বিএনপি নতুন করে আবার দেশে বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। কেউ মাথা চাড়া উঠলে আমরা তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করব।’
হানিফ বলেন, বিএনপির লজ্জা থাকা উচিত তারা কি করে আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। এই স্বাধীন দেশে বিএনপি হলো সাম্প্রদায়িক দল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন আবার দলটি ষড়যন্ত্র শুরু করছে।
২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের অগ্নি সন্ত্রাসীরা আবারও মাঠে নেমেছে দাবি করে দীপু মনি বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলার স্বপ্নকে বুকে নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে অপশক্তিকে প্রতিহত করি।
রাজধানীর ফার্মগেটে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ আয়োজিত সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব কারাগার থেকে বের হয়েছেন। তিনি এখন বলেছেন সরকারকে পতন না করে ঘরে ফিরবেন না। সরকারের পতন হবে না। কারণ এই সরকার জনগণের সরকার। এই সরকার শান্তির স্বপক্ষের সরকার, এই সরকার উন্নয়নের সরকার। এই সরকারকে পতন ঘটানো যাবে না।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারে, যারা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করতে পারে, যারা জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করতে পারে। তারা আর যাই হোক এ দেশের মঙ্গল কামনা করতে পারে না। ওরা খুনি। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।
Array