যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সৈয়দ ফয়সাল আরিফের মৃত্যুর ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এক বিবৃতিতে সমবেদনা জানায় দূতাবাস।
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র জেফ রিডেনের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন দূতাবাস সৈয়দ ফয়সালের পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের আহ্বানকে সমর্থন করে মার্কিন জেলা অ্যাটর্নি অফিসের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের জন্য অনুরোধ জানানো হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সৈয়দ ফয়সাল আরিফ।
দেশটির পুলিশের দাবি, ওই শিক্ষার্থী বড় একটি ছুরি হাতে ঘুরছিলেন। তাকে ছুরিটি ফেলে দিতে বলা হলেও সেটি না করায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, বড় একটি ছুরি হাতে সজ্জিত এক ব্যক্তিকে বুধবার বিকেলে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজের গুলি করে হত্যা করেন এক পুলিশ অফিসার। কেমব্রিজের চেস্টনাট স্ট্রিট এলাকায় ধাওয়া ধরে ধরার চেষ্টার পর এই ঘটনা ঘটে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সেদিন স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া একটার দিকে ৯১১ নাম্বারে ফোন করেন কেমব্রিজপোর্টের একজন বাসিন্দা। ছুরি হাতে একজন ব্যক্তি অ্যাপার্টমেন্টের জানালা থেকে লাফিয়ে পড়ার ঘটনা জানানোর জন্যই ওই বাসিন্দা ফোন করেন। লোকটিকে তখন অস্ত্র দিয়ে নিজেকে আঘাত করতে দেখা যায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সিডনি স্ট্রিটের একটি বিল্ডিংয়ের পেছনে ওই ব্যক্তিকে ২০ বছর বয়সী সাঈদ ফয়সাল নামে শনাক্ত করে। ফয়সাল তখন অস্ত্রটি নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তদন্তকারী কর্মকর্তারা ধারালো ওই অস্ত্রকে লম্বা কুকরি ছুরি বলে উল্লেখ করেছেন।
পরে চেস্টনাট স্ট্রিটে ফয়সাল ছুরি নিয়ে অফিসারদের দিকে এগিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে অফিসাররা থামাতে চাইলেও ব্যর্থ হয় বলে জানিয়েছেন মিডলসেক্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মারিয়ান রায়ান।
Array