পুলিশের করা মামলায় এক মাসেরও বেশি সময় পর নিজে কারামুক্ত হয়ে দলের নেতাকর্মীদেরও অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর কারাফটকে উপস্থিত সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের সামনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, আজকে আমি বলি, আমাদের শত শত নেতাকর্মী এখনো কারাগারে আটক হয়ে আছেন এবং দুঃখজনকভাবে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমি অবিলম্বে আমাদের এই নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করছি।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল হবে।
এ সময় তিনি কারাফটকের সামনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী ও দলের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এদিন একই সঙ্গে কারামুক্তি পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
গত ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়।
এরপর কয়েক দফায় তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।
পরে গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। গত ৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ বহাল রাখেন। এরপরই বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতার কারামুক্তির বাধা কাটে।
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক লোক আহত হন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে অভিযোগ করে কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে।
Array