বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শুভসূচনা করলো নাসির হোসেনের ঢাকা ডমিনেটর্স।
আজ শনিবার (৭ জানুয়ানি) মিরপুরে খুলনার দেয়া ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ও ৫ বল হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ঢাকা।
১১৪ রানের লক্ষ্যে মাঠে নেমে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ ও দিলশান মুনাবিরা। কিন্তু শেহজাদ রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলে ধাক্কা খায় তারা। ঢাকার দলীয় ১৬ রানের সময় পল ভ্যান মেকেরিনের বল হাতে লাগে শেহজাদের।
তারা প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৪৭ রানে এসে। সৌম্য সরকার ওয়াহাব রিয়াজের বলে ক্যাচ দেন আজম খানের হাতে। এর আগেই অবশ্য ঘটে এক নাটক। ষষ্ঠ ওভারে নাসুমের বলে সৌম্যকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন ব্যাটার। টিভি আম্পায়ার দেখে সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
এরপর নিজের ক্ষোভ জানিয়ে মাঠেই দাঁড়িয়ে থাকেন সৌম্য। আম্পায়াররা আবারও রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত বদলান।
সৌম্যকে হারানোর পর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর দলকে এগিয়ে দেন নাসির হোসেন ও ওসমান গনি। এই দুজন মিলে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে পল ভ্যান মেকেরিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান উসমান। ভেঙে যায় জুটি।
দলকে বাকি পথ টেনে নেন অধিনায়ক নাসির ও আরিফুল হক। ৪ চারে ৩৬ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন নাসির হোসেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে খুলনা। পাওয়ার প্লের মধ্যে ২৮ রান তুলতে হারায় ৩ উইকেট। শারজিল খান (৭), মুনিম শাহরিয়ার (৪), তামিম ইকবাল (৮)-টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারই সাজঘরে ফেরেন দুই অংক ছোঁয়ার আগে।
আজম খান শুরুটা করেছিলেন মারকুটে। তবে ১২ বলে ১৮ করে থামতে হয়েছে তাকেও। অধিনায়ক ইয়াসির আলি ধরে খেলে ২৫ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় করেন ২৪ রান।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ইনিংস ছিল আরও ধীরগতির। ২৮ বল খেলে এই অলরাউন্ডার করেন ১৯ রান। শেষদিকে সাব্বির রহমান ১১ বলে অপরাজিত ১১ (কোনো বাউন্ডারি ছাড়া) আর ওয়াহাব রিয়াজ ৩ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১০ রান করলে ১১৩ রানের পুঁজি পায় খুলনা।
ঢাকার পেসার আল আমিন হোসেন ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার আরাফাত সানি আর নাসির হোসেনের। তাসকিন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৪ রান।
Array