সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল কিনে কাগজপত্র ছাড়াই চালাচ্ছিলেন। পুলিশের নজর এড়াতে বড় রাস্তার দিকে যেতেন না। কিন্তু কাল হলো মোবাইল হারানো।
সেই বাইকেই দুই বন্ধুকে নিয়ে ওই যুবক সোমবার (২ জানুয়ারি) কলকাতার রাজারহাট থানায় যান ডায়েরি করতে। পুলিশ সেই ডায়েরি নথিভুক্ত করার পর যুবকের কাছে মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চায়। কিন্তু দেখাতে না পারায় জরিমানা দিতে হলো সাড়ে ছয় হাজার টাকা।
পুলিশ জানায়, কলকাতার নারায়ণপুরের ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ সোনু। সোমবার তিনি দুই বন্ধুকে বাইকে নিয়ে থানায় যান হারানো মোবাইলের খোঁজে ডায়েরি করতে। তিন জনের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। ডায়েরি নেওয়ার পরই সোনুকে জেরা করে পুলিশ।
জানা যায়, হেলমেট তো দূরে থাক, ওই যুবকের কাছে ছিল না লাইসেন্স ও মোটরসাইকেলের কাগজ। ভারতের বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনা এড়াতে বিনা হেলমেটের বাইক চালক দেখলেই জরিমানা করার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলোকে। সে দিন ওই যুবক থানায় ঢুকতেই পুলিশ সদস্যরা খেয়াল করেন, সোনুর বাইকে হেলমেট ঝোলানো নেই। এরপরই কর্মকর্তারা কর্তব্যরত অফিসারকে নির্দেশ দেন, সোনুকে যেন চড়া হারে জরিমানা করা হয়।
রাজারহাট থানার এক কর্মকর্তা জানান, হেলমেট, লাইসেন্স ও বাইকের কাগজপত্র না থাকা এবং একটি বাইকে তিন জন চড়া-সহ একাধিক অভিযোগে সোনুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আটক করা হয় বাইকটিও। পরে জরিমানার অংক জমা দিয়ে থানা থেকে বাইক ছাড়িয়ে নিয়ে যান সোনুর পরিবারের লোকজন।
অভিযুক্তের বাবা মোহাম্মদ নাসির জানান, কাগজ হাতে পাওয়ার আগে বাইক নিয়ে বের হতে ছেলেকে নিষেধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সোনু কথা শোনেননি। নাসির বলেন, সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকের পুরো টাকা এখনও দিতে পারিনি বলে বাইকের মালিক কাগজ দেয়নি। ছেলেকে বারবার বলেছিলাম, বাইক নিয়ে না বের হতে। ও কথা না শুনে মোবাইল হারানোর ডায়েরি করতে থানায় যায়। সত্যিই বড় ভুল হয়েছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আশা করা যায়, এ ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে সতর্কতা তৈরি হবে। তবে জরিমানার অংক অনেক বেড়ে যাওয়ায় বাইক চালকেরা সজাগ হয়েছেন বলেই মনে হয়।
Array