প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে দেশ। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সূর্য। ফলে সারা দেশেই শুরু হয়েছে তীব্র ঠান্ডা। শৈত্যপ্রবাহ (১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রা) না থাকলেও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত অবস্থা সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) কুয়াশার পরিমাণ খানিকটা কমে আসতে পারে। আজ দুপুরের পর কোথাও কোথাও রোদের মুখ দেখা যেতে পারে। তবে দু-এক দিন পর আবার বেশি মাত্রায় কুয়াশা দেখা দিতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমের কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ছিল টেকনাফে ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গল ছাড়া দেশের অন্যান্য নিম্ন তাপমাত্রার অঞ্চলগুলোতে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিলো। যেমন গতকাল তেঁতুলিয়ায় নিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজারহাটে ছিলো ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদীতে ছিলো ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে ছিলো ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বদলগাছীতে ছিলো ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গায় ছিলো ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।