বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম এক টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন থেকে রপ্তানিকারকরা রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০২ টাকা।
রবিবার (০১ জানুয়ারি) রাতে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য রবিবার (০১ জানুয়ারি) রাতে এবিবি ও বাফেদার নেতারা বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে রপ্তানির ক্ষেত্রে ডলারের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দামে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
এবিবি ও বাফেদার সিধান্তের আগে রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ছিল ১০১ টাকা। প্রবাসীরা এক ডলার পাঠালে তার বিপরীতে দেশে তার স্বজনরা পান ১০৭ টাকা। এখনও ১০৭ টাকাই পাবেন তারা। তবে নতুন সিদ্ধান্তের ফলে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০২ টাকা।
এদিকে, নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে আমদানি দায় পরিশোধে প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পাবে। আমদানি দায় পরিশোধে ডলারের দাম নিধারিত হয় প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের গড়ের চেয়ে ৫০ পয়সা বেশি ধরে।
বর্তমানে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ১০৭ টাকা, আর রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ১০২ টাকা করা হয়েছে। এর ফলে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের গড় দাঁড়ালো ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা। এ গড়ের সঙ্গে ৫০ পয়সা যোগ করে ১০৫ টাকা হবে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম।
এবিবি ও বাফেদার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম এক টাকা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি দায় পরিশোধে প্রতি ডলারেরও দাম বাড়লো ৫০ পয়সা।
Array