ইউক্রেনে আবারও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানী কিয়েভসহ বহু শহরে চালানো ওই হামলার পর ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই তথ্য সামনে এনেছেন।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনজুড়ে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল তীব্র ঠান্ডা তাপমাত্রায় বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত, ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রয়েছে।’
তার ভাষায়, ‘রুশ হামলার পর বিশেষ করে কিয়েভ অঞ্চল এবং রাজধানী, লভিভ অঞ্চল, ওডেসা এবং অঞ্চল, খেরসন এবং অঞ্চল, ভিনিটসিয়া অঞ্চল এবং ট্রান্সকারপাথিয়াতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খুবই কঠিন।’
জেলেনস্কি বলেন, ‘এই ধরনের প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে, রাশিয়া কেবল নিজেকে আরও তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।’
‘এর ফলে বিশ্বের বৃহত্তম সন্ত্রাসীর মর্যাদা রাশিয়া এবং তার নাগরিকদের জন্য দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিণতি বয়ে আনবে। এবং প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র কেবল এটিই নিশ্চিত করে যে, এই সমস্ত কিছু অবশ্যই একটি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে শেষ হওয়া উচিত। ঠিক এটিই ঘটবে।’
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক মিসাইল হামলা চালায় রুশ সামরিক বাহিনী। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, রাশিয়া জ্বালানি স্থাপনায় ৬৯টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী ৫৪টি গুলি করে ধ্বংস করেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের আশপাশে হামলায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এদিনের রুশ হামলায় সারা দেশে কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন।
Array