S M Dulal
30th Dec 2022 3:20 am | অনলাইন সংস্করণ
আজকালের বার্তা বিনোদন প্রতিবেদক : মহান মুক্তিযুদ্ধে বর্বর পাক হানাদার বাহিনী দ্বারা সম্ভ্রম হারানো বীরাঙ্গনাদের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘বীরাঙ্গনা ৭১’। গল্পে দেখা যাবে একাত্তরের উত্তাল সময়ে এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জয়বুন নামের এক নারীর বীরত্তে¦র গল্প বীরাঙ্গনা’৭১। এ
নারীর দুঃসাহসী প্রেমিক মোহন পাক সেনাদের কাছে মাথা নত না করে জয়বাংলা বলে মেশিন গানের সামনে বুক পাতিয়ে আত্মত্যাগের এক ইতিহাস তৈরি করে। পরবর্তীতে বীরাঙ্গনার ঔরসজাত যুদ্ধ শিশু নদী আর ওর ভালবাসার মানুষ আজকের দেশ প্রেমিক আকাশের গল্প বীরাঙ্গনা’৭১ ফুটে উঠেছে পাকহানাদার ক্যাম্পে পাক সেনাদের বর্বরতা নারীদের প্রতি চরম অসম্মানের লোমহর্ষক চিত্র। পাশাপাশি আজকের প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মান ও দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যুদ্ধশিশুকে বরণ করে নেবার এক আবেগময় উপাখ্যান ।
প্রথমবারের মতো মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে একসঙ্গে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় নাট্যঅভিনেতা শাহেদ শরীফ খান ও দর্শকপ্রিয় চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন এম সাখাওয়াৎ হোসেন। সিনেমার সংলাপ ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন পরিচালক নিজেই।
চলতি বছরের শেষ সিনেমা হিসেবে সিনেমাটি আজ ৩০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে।সিনেমাটি ঢাকার চিত্রা মহল, লায়ন সিনেমাস, সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টারসহ ১৫টি প্রেক্ষাগৃহে চলবে।মুক্তি সামনে রেখে গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চলচ্চিত্র পুরস্কার সংশ্লিষ্টরা। এসময় সিনেমার কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিনেমার অংশ হতে পারে আনন্দিত অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিচালক, মডেল মুনমুন আহমেদ। বক্তব্য তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের এই সিনেমাটিতে যুক্ত থাকতে পেরে ভালো লাগছে। মুক্তিযুদ্ধের কিছুর সাথে যুক্ত থাকতে পারা সৌভাগ্যের। এই সময়ে এই ধরনের সিনেমা নতুন প্রজন্মের সবারই দেখা উচিত। অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী হয় না দর্শক দেখবে না বলে। তবে প্রযোজক-পরিচালক চ্যালেঞ্জং নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণে এগিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের শক্তিমান নির্দেশক ও অভিনেতা ঝুনা চৌধুরী বলেন, অনেক চড়াই উৎরাই পার করে আমাদের চলচ্চিত্রের নবজাগরণ হয়েছে। আমাদের চলচ্চিত্র আমাদেরই এগিয়ে নিতে হবে। মূল ধারার সিনেমা এগিয়ে নিতে হবে। সবাই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে দেখবেন।
শিরিন শিলা বলেন, এটা আমার পরম সৌভাগ্য যে একজন বীরাঙ্গনার ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। এই সিনেমার কাজ শুরু হয়েছিল বছরের শুরুর দিকে। বেশ ভালোভাবেই কাজটি নির্মাতা শেষ করেছেন। চলতি মাসের শেষপ্রান্তে মুক্তি পাচ্ছে এটি। চলতি বছরে এটাই আমার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা। বীরাঙ্গনা চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি।
বরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা কাজী হায়াৎ বলেন, এই বিজয়ের অর্জনে যা ঘটেছিল তার প্রধান ছিল নারীদের সম্মান। সেই বীরাঙ্গনা নিয়ে এই সিনেমা। এইসব সিনেমা নির্মাণ করার জন্য খুব কম লগ্নিকারক থাকে। সাধারণত মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা অনুদানে নির্মিত হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
অভিনেতা প্রাণ রায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, ছোটবেলায়ও তেমন জানতে পারিনি। এসব চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমরা জানতে পারব। খুবই ইমোশনাল একটা সিনেমা এটি। অনেক শীতের মধ্যে শুটিং করতে হয়েছে। সিনেমার বাজেটও বেশি ছিল না। তারপরও এর সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করেছি।
সিনেমাতে আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, ঝুনা চৌধুরী, খলিলুর রহমান কাদেরী,মুনমুন আহমেদ, সুমনা সোমা, ইমতু রাতিশ, মৌরি মাহাদি, প্রাণ রায়, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, আশরাফ কবির, আহেমদ সাব্বির রোমিও,শহিদ আলমগীর, শহিদুল ইসলাম শহিদ,মেহেদুল হক সুজন, নূপুর আরা প্রমুখ।
এসএসফিল্ম ইন্টারন্যাশনাল প্রযোজিত সিনেমাটিতে গানে কন্ঠ দিয়েছেন কাজী শুভ, ফজলুর রহমান বাবু, সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা, নুপুর জাহান। সম্পাদনা মনিরুজ্জামান মনির,ডিআই কালারিস্ট আসফাক আহমেদ খায়ের,আবহ সঙ্গীত ও সঙ্গীত
বেলাল হোসাইন চঞ্চল,নির্বাহী প্রযোজক শহিদুল ইসলাম শহিদ ।
Array
বেলাল হোসাইন চঞ্চল,নির্বাহী প্রযোজক শহিদুল ইসলাম শহিদ ।