আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে চীন, হংকং ও ম্যাকাও থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে চীনা নাগরিকদের কোভিড নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের গতি কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে হলে চীন, হংকং ও ম্যাকাও ছাড়ার সর্বোচ্চ দুই দিন আগের করোনা নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে।
এদিকে আজ শুক্রবার থেকে চীনা নাগরিকদের জাপান প্রবেশেও করোনার পরীক্ষা লাগবে। করোনা পজিটিভ হলে সাত দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ইতালিতেও চীনা নাগরিকদের ঢুকতে করোনার নেগেটিভ সনদ লাগবে।
বিক্ষোভের মুখে চীন তাদের কঠোর কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পর্যটকদের জন্য কোয়ারেন্টিন বিধিমালা বাতিল করার মতো পদক্ষেপও। কিন্তু তাদের এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব পড়বে, তার ওপর চোখ রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ চীনের করোনার সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
গত সোমবার বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের বিধি বাতিলের ঘোষণা দেয় চীন। ঘোষণা অনুযায়ী, ৮ জানুয়ারি থেকে এ বিধি আর কার্যকর থাকবে না। এই ঘোষণা আসার পর থেকে বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়ানো নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। করোনার সংক্রমণ যাতে বাড়তে না পারে, সে জন্য ভারত ও জাপান সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চীনের করোনার সংক্রমণ ঘিরে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তাই তাদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে। মালয়েশিয়া ও তাইওয়ানও চীনে নতুন করে সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। সূত্র: রয়টার্স
Array