আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল। সকাল ৮টা থেকে যাত্রীরা এই রেলে ওঠার সুযোগ পান। বেলা ১২টায় চলাচল বন্ধ হয়।
এদিকে প্রথম দিন টিকিট বা এমআরটি পাস নিয়ে কিছু সংকট তৈরি হয়। সকালে একক যাত্রার টিকিট দেওয়া হলেও পরে যাত্রীদের চাপে তা বন্ধ করা হয়। তবে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক জানান, বেলা ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এমআরটি পাস দেওয়া হবে।
এমএএন ছিদ্দিক আরও জানান, প্রথমদিন ৫০০ টাকার নিচে কোনও পাস দেওয়া হচ্ছে না। তিনি সবাইকে ডিএমটিসিএলের ওয়েবসাইট থেকে ফরম পূরণ করে স্টেশন থেকে এ পাস কার্ড সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভাড়া লাগবে ৬০ টাকা। র্যাপিড পাস নেওয়ার জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ১০ বছরের জন্য এই পাস দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রেশন করে স্টেশনে থেকে কার্ড নিতে হবে। কার্ডের জন্য ২০০ টাকা লাগবে। পরে কার্ডে ২০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।
যানজটের নগরী ঢাকায় বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয়েছে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর)। এদিন বেলা ১১টার পর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামফলক উন্মোচন করে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন।
৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায়।
শুরুতে সীমিত পরিসরে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলছে মেট্রোরেল। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ মেট্রোরেলে চড়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে।
Array