নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা ও রাজাশাহী উন্নয়ণ প্রকল্পে ইসলাম ট্রেডার্সের নামে ব্যাগ সরবরাহের জন্য ভুয়া কার্যাদেশ গ্রহণ করে কিন্তু মালামাল সরবরাহ না করে সিকিউরিটি বাবদ প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে যোাগসাজসে উত্তোলণ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টেন্ডারের মাধ্যমে বড় বড় কাজ বাগিয়ে নিয়ে মালামাল সরবরাহ না করে ভুয়া বিল বানিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে কোটি কোটি টাকার দূর্নীতি ও মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম এবং দুবাইয়ে সহ দেশে-বিদেশে নামে-বেনামে বিপুল পরিমান অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে ইসলাম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী দুর্নীতিবাজ ও অবৈধ অর্থের মালিক সাইদুল্লাহ বিন হাসান তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
গত ৯ ডিসেম্বর এবিষয়ে ইসলাম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সাইদুল্লাহ বিন হাসান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে প্রমানাদি দেখানোর জন্য প্রতিবেদকের কাছে দুদিন সময় চান।
১২ই ডিসেম্বর খোঁজ নিয়ে জানা যায় সাইদুল্লাহ বিন হাসান মালয়েশিয়ায় আত্মগোপনে চলে গেছেন। এরই মধ্যে তার বাবা ইন্তেকাল করলেও তিনি দেশে ফিরেন নাই।
সাইদুল্লাহ বিন হাসান তার সহযোগীরা দুবাইতে ইসলাম জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকান করেছেন। সেখানে হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল অর্থ পাচার করে আসছেন এবং দুবাই থেকে চোরাই পথে স্বর্ণ এনে অবৈধ ভাবে ব্যবসা বিপুল পরিমান কালো টাকার মালিক বনে গেছেন।
তার নিজ এলাকা আলমডাঙ্গায় উপজেলায় আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন-উর-রশিদের পক্ষে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন। বিক্ষুদ্ধ জনতা তার বিলাসবহুল মাইক্রোবাস হ্যালেঞ্চা জ¦^ালিয়ে দেয়। অবৈধ টাকার গাড়ী পুড়ে গেলেও কোন মামলা বা ইনসুরেন্স ক্লেম করেন নি। বরং পরের দিনই তার থেকেও অধিক দামের একটি নতুন গাড়ি কিনেছেন। যা অবৈধ টাকার প্রভাবের আরও একটি উদাহরন।
তাদের দৃশ্যমান ব্যবসার চেয়ে অদৃশ্য ব্যবসাই বেশি কারণ সে বায়তৃল মোকারমসহ একাধিক মার্কেটের স্বর্ণের দোকানে অবৈধ নগদ অর্থ বিনিয়োগ করা আছে। যার বিস্তারিত তথ্যের অনুসন্ধান চলছে।
তারা একাধিক বিলাস বহুল গাড়ীর মালিক, সন্তানেরা অভিজাত স্কুলে লেখাপড়া করে, প্রায়ই পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমন করেন, সর্বোপরি অস্বাভাবিক ব্যয় বহুল জীবন জাপনে অভ্যন্ত ।
সাইদুল্লাহ বিন হাসানের পিতা বোয়ালমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈমাম ছিলেন। বিগত সংসদ নির্বাচনে সরকার বিরোধী অপপ্রচার ও জ্বালাময়ী বক্তব্য দেওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করে জেলে পাঠায়। বর্তমানে সে ইমামতি থেকে বরখাস্ত।
তাদের অর্থের কারনে বোয়ালমারী সহ আলমডাঙ্গায় তার পরিবারের সকলেই ধন্যাঢ্য পরিবার হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাদের কু-কর্ম ও অবৈধ্য ব্যবসার ব্যবসায়িক সহযোগী ইঞ্জিনিয়ার মফিজসহ প্রভাবশালী বেশ কয়েকজনের সন্ধান পাওয়া গেছে।
দেশ ও সমাজের শত্র অর্থপাচারকারী, দুর্নীতিবাজ ও অবৈধ অর্থের মালিক সাইদুল্লাহ বিন হাসান ও তার সহযোগীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইওে রয়ে গেছেন।
Array