রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২ ডলার ৯৪ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি বিক্রি হয় ৮৩ ডলার ৯২ সেন্টে। এ ছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ২ ডলার ৭ সেন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৭৯ ডলার ৫৬ সেন্টে। আগামী বছরের শুরুতে রাশিয়া তেল উৎপাদন ৫ থেকে ৭ শতাংশ কমাতে পারে বলে গত শুক্রবার রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাকের বরাতে জানিয়েছে রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএ। রয়টার্সের বিশ্লেষণের তথ্য অনুযায়ী, জি-৭ সদস্য দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ও তেলের মূল্যসীমা নির্ধারণ করে দেওয়ায় চলতি মাসে রাশিয়ার তেল রপ্তানি ২০ শতাংশ কমতে পারে।
তেল রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় কমানোই ছিল জি৭-এর উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে তারা রাশিয়ার অর্থনীতিকে দুর্বল করে ইউক্রেইন যুদ্ধে মস্কোর অর্থের যোগান কমাতে চাইছে।
বাজার বিশ্লেষক ইলি তেসফায়ের মতে, রাশিয়ার তেল উৎপাদন কমানোর সম্ভাবনা বাজারকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করতে ভূমিকা রাখবে। বৈশ্বিক চাহিদা বর্তমান হারে বাড়তে থাকলে, দেশটির তেল উৎপাদন কমানো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রভাব পড়তে পারে উল্লেযোগ্য হারে। তবে প্রতি ব্যারেল দাম ৮০ ডলারের মধ্যে থাকবে বলে আশা করা যায়। সুইস ব্যাংক ইউবিএসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাশিয়া উৎপাদন প্রকৃত অর্থে কমালে এবং চীনে কভিড-১৯ সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়ে গেলে সরবরাহ ঘাটতিতে পড়বে তেলের বাজার। তখন প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম উন্নীত হতে পারে ১০০ ডলারে।