বকশীগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিউলী বেগম জানান, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ডাকাতদল বাসার পেছনের গেটের তালা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে পেছনের দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। প্রথমে ডাকাতদল তার বৃদ্ধ মায়ের রুমে গিয়ে তার মাকে জিম্মি করে। পরে মায়ের চিৎকারে অন্য রুম থেকে তারা তিন বোন ও কাজের মেয়ে মায়ের রুমে আসেন।
তিনি আরও জানান, তারা রুমে আসা মাত্রই ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের গলায় ও হাতে থাকা স্বর্ণের গহনা লুট করে। সাতজন ডাকাত সদস্যের মধ্যে কয়েকজন অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে রাখে এবং অন্যরা প্রতিটি রুমে ঢুকে আলমিরা, শোকেস ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ প্রায় ২৫ লাখ টাকা, ৩টি মোবাইল ফোন ও আনুমানিক ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। ওই বাসায় প্রায় ৪৫ মিনিট লুটপাট চালায় ডাকাতদল। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর বাসার লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম কালবেলা কে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের জন্য আমি ঢাকায় ছিলাম। গভীর রাতে ডাকাতদল আমার মা-বোনদের জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জীবদ্দশায় কখনো আমাদের বাড়িতে ছোটখাটো চুরির ঘটনাও ইতিপূর্বে ঘটেনি। কিন্তু এবার এ রকম ডাকাতির ঘটনা ঘটলো, আমার বৃদ্ধ মা সহ পরিবারের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, ‘খবর পেয়েই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ডাকাতির শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জেনেছি। পুলিশ তৎপর রয়েছে। ডাকাতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’