ভারতকে প্রথম ইনিংসে ৩১৪ রানে অলআউট করেছে বিাংলাদেশ। সফরকারীরা লিড পেয়েছে ৮৭ রানের। বাংলাদেশের হয়ে সমান ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম। সাকিব ৭৯ রান খরচ করেছেন। তাইজুল দিযেছেন ৭৪ রান। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের পুরোটা সময় অস্বস্তি নিয়ে কাটিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান সংগ্রহ করতে পারে। মুমিনুল ছাড়া কোনও ব্যাটারই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। বাংলাদেশকে অলআউট করে বৃহস্পতিবার শেষ বিকালে ৮ ওভার ব্যাটিং করে সফরকারীরা। ৮ ওভারে বিনা উইকেটে তুলতে পারে ১৯ রান। সেই জুটিটা দ্বিতীয় দিন প্রায় ২০ মিনিটের মতো অবিচ্ছিন্ন থাকতে পারে।
লোকেশ রাহুলকে এলবিডাব্লিউ করে শুরুর এই ২৭ রানের জুটি ভেঙেছেন তাইজুল। রাহুল ৪৫ বলে ১ চারে ১০ রানে আউট হয়েছেন।
নিজের পরের ওভারের প্রথম বলে ফের সাফল্য পান তাইজুল। ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিল সুইপ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বলে-ব্যাটে ঠিক মতো সংযোগ ঘটাতে পারেননি। এলবিডাব্লিউতে ১ ছক্কা ও ১ চারে ২০ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২২৭ রানের জবাবে ভারত করেছে ৩১৪ রান। ৮৭ রানে পিছিয়ে থেকে আজ শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) শেষ বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে টাইগাররা।
দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের দেখে শুনে খেলতে থাকেন ভারতীয় দুই ওপেনার। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ভারত শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন টাইগার স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এরপর ১৬তম ওভারে আবারও তাইজুলের আঘাত।
শুরুটা হয়েছিল ভারতীয় অধিনায়ক লেকেশ রাহুলকে দিয়ে। ডানহাতি এই ওপেনারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে দিনের শুভসূচনা করেন তাইজুল। এরপর আরেক ওপেনার শুভমান গিলকেও লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ২০ রানের মাথায় ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর তৃতীয় উইকেটটাও তুলে নেন তিনই। যদিও এ উইকেটে অবদান আছে মুমিনুল হকের। স্লিপে দাঁড়িয়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক।
কিন্তু চাপটা ধরে রাখতে পারেনি তাইজুল-মিরাজরা। ১৫৯ রানের বিশাল জুটি গড়ে ভারতকে লিড এনে দেন ঋষভ পান্ত ও শ্রেয়াস আইয়ার। চা পানের বিরতির পর সে জুটি ভাঙলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
পান্তের বিদায়ের পর ১১ রানের ব্যবধানে ফিরেছেন অক্ষর প্যাটেল। সাকিব আল হাসানের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে লং অফ বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন বাঁহাতি এ ব্যাটার। এরপর আইয়ারকেও সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন সাকিব। ১০ চার ও ২ ছয়ে ১০৫ বলে ৮৭ রান করে ফিরতে হয়ে ডানহাতি এ ব্যাটারকে।
Array