পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বৈঠকগুলো হয় সেখানে সবসময় সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়টি আমরা ব্যক্ত করি। সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে বৈঠক হয়, সেখানকার আলোচনায় দুই রাষ্ট্রই চায় সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে। আমি নিজেও সীমান্তবর্তী একটি আসনের সংসদ সদস্য। পদ্মার ওপারে ভারত এপারে আমার নির্বাচনী এলাকা। সীমান্তে হত্যা বন্ধের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
‘এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। দুই রাষ্ট্রের বিধিবিধান রয়েছে যাতে ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া কেউ না যান। অংকের হিসাবে সীমান্ত হত্যা কমে এসেছে। কিন্তু একটা মৃত্যুই অনেক। তাই সীমান্তে একটা মৃত্যুও আমরা চাই না। আশা করি, সামনের দিকে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামবে।’
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট চার্চ অব গড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জুবিলী(৭৫ বর্ষ পূর্তি ) উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘এ বছরে নিশ্চিত করে বলতে পারি ২০-২১ সালের চেয়ে সীমান্তে এ বছর সীমান্ত হত্যা কম। তবে আমরা বলবো একটা মৃত্যুও চাই না।’
লালমনিরহাটের মোগলহাট স্থলবন্দরের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলেও পাকিস্তান পরবর্তী সময় থেকে মোগলহাটের রেললাইনটি চালু ছিলো। সেখান থেকে কয়লা আসতো তবে আমরা দুই রাষ্ট্র মিলে পুরোনো যত যোগাযোগের পয়েন্টসগুলো রয়েছে তা পুনরায় চালু করবো। তবে সেখানে বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। এখানে যোগাযোগসহ সার্বিক দিকগুলো দেখতে হয়।আমি এখানকার চেম্বারের সঙ্গে বসবো, তারা আমায় অনুরোধ করেছেন। এবং অবশ্যই যদি এখানে যথেষ্ট ব্যবসায়ী চাহিদা থাকে আমদানি ও রপ্তানি করার তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এখানকার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও জনপ্রতিনিধিরা মনে করেন এটা চালু করা সম্ভব। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে স্থলবন্দর চালু করার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানাবো।’
চার্চ অব গড উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (প্লাটিনাম জুবিলী) উৎযাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজার করিম স্বপন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, মিশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহিদার রহমানসহ বর্তমান সকল শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষক, শিক্ষিকা ও প্রায় ৫ হাজার সাবেক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
Array