বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারর্সের (আরএসএফ) বার্ষিক প্রেস ফ্রিডম রিভিউতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
১৯৯৫ সাল থেকে এ সংক্রান্ত বার্ষিক হিসাব প্রকাশকারী প্যারিসভিত্তিক ওয়াচডগ বলছে, এসব সাংবাদিকদের এক চতুর্থাংশেরও বেশি অন্তত বছর ধরে কারাবন্দি রয়েছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, চীনে সাংবাদিকতার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে বন্দি রয়েছেন মোট ১১০ জন সাংবাদিক। এছাড়া মিয়ানমারে ৬২, ইরানে ৪৭, ভিয়েতনাম ৩৯ ও বেলারুশ ৩১ জন সাংবাদিক কারাবন্দি রয়েছেন।
সম্প্রতি ইরানে আটক সাংবাদিকদের সংখ্যা রেকর্ড হারে বেড়েছে। পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে দেশটিতে ৩৪ জন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে।
এদিকে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে নিহত সাংবাদিকদের সংখ্যাও প্রকাশ করেছে আরএসএফ। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৫৭ জন সাংবাদিক। যাদের মধ্যে আটজন যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইউক্রেনের আটজনসহ মোট আঠারোজন সাংবাদিককে বর্তমানে বন্দি করে রেখেছে রাশিয়া।
আরএসএফ জানিয়েছে, সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে নারী সাংবাদিকদেরও বিভিন্ন ধরনের হুমকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এমনকি তাদেরকেও কারাবন্দি করার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। ২০২১ সাল থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নারী সাংবাদিকদের কারাবন্দি করার হার বেড়েছে অন্তত ১৮ শতাংশ।
এদিকে জেলে থাকা তিন-চতুর্থাংশ সাংবাদিক এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে বন্দি রয়েছেন। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করায় উদ্বেগ জানিয়েছে সংস্থাটি।