- জেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া;
আন্তঃস্কুল ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় উপজেলা ও জেলা ছাড়িয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা খেলোয়াড় হয়েছে রাবেয়া খাতুন (১৩)। এবার জাতীয় পর্যায়ে ঢাকা শিশু একাডেমিতে খেলবে। ১৯ ডিসেম্বর এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
সেখানে খেলার জন্য একটি মানসম্মত র্যাকেট দরকার রাবেয়ার, যা তার নেই। এ অবস্থায় ঢাকায় খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এই ক্ষুদে খেলোয়াড়ের।
রাবেয়া কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার খয়েরচারা গ্রামের ভ্যানচালক মামুন হোসেনের মেয়ে ও তেবাড়িয়া শেরকান্দি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট রাবেয়া।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই মেয়েটি ফুটবল, কাবাডি, হ্যান্ডবল, উচ্চ লাফ, ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী। আর্থিক ও সামাজিক নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এরই মধ্যে সে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে একাধিকবার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।
রাবেয়া খাতুন বলে, ‘ব্যাডমিন্টনে এবার বিভাগীয় সেরা হয়েছি। ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় খেলা। এজন্য একটা ভালো র্যাকেট দরকার। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় বাবা কিনে দিতে পারছেন না। এখন কী করবো বুঝতে পারছি না।’
ভ্যানচালক বাবা মামুন হোসেন বলেন, ‘মেয়ে ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী। মেলাবার (অনেকবার) সে সেরা পেলেয়ার (খেলোয়াড়) হয়েছে। এবার ঢাকা শিশু একাডেমিতে খেলবে। একটা ভালো র্যাকেট দরকার। স্কুলের ক্রীড়া স্যারের কাছে গিছিলাম। তিনি বলেছেন কিনে নেওগা। কিন্তু আমার তো তেমন সামর্থ্য নেই। এছাড়া ঢাকা যাওয়া-আসা, থাকা অনেক টাকার ব্যাপার। এজন্য কারও সাহায্য পেলে ভালো হতো।’
তেবাড়িয়া ম্যাধমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, ‘রাবেয়া স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। খেলাধুলার প্রতি তার অনেক আগ্রহ। আর্থিকভাবে সাপোর্ট পেলে সে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে। আমি তার সাফল্য কামনা করি।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, রাবেয়াকে একটি ভালোমানের র্যাকেটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
Array