মরক্কানরা তখন এক গোলে এগিয়ে। বিশ্বকাপের শেষ আটের লড়াইয়ে টিকে থাকতে আক্রমণের পর আক্রমণ করেই যাচ্ছে পর্তুগাল। পেপের একটা হেডার বেরিয়ে গেল পোস্ট ঘেঁষে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোসহ পর্তুগিজদের আফসোসটা চোখেমুখে ফুটে উঠছিল, সমতা ফেরানোর মোক্ষম সুযোগটা যে বেরিয়ে গেল হাত ফসকে!
সেই সমতা আর ফেরাতে পারেনি পর্তুগাল। মরক্কো শেষমেশ শেষ হাসি হেসেছে ১-০ গোলে। তাতেই আফ্রিকান রূপকথা নতুন করে লিখল মরক্কানরা। প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের শেষ চারে জায়গা করে নেওয়া হয়ে গেছে যে!
দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মরক্কো স্পেনের বিপক্ষে খেলেছিল রক্ষণাত্মক ফুটবল, জিতেছিল পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেই মরক্কো ধারে ভারে অনেক এগিয়ে থাকা পর্তুগালের বিপক্ষেও তেমনভাবেই এগোবে, ধারণা ছিল এমনটাই। তবে আজ বিশ্বকাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা মিলছে যেন অন্য এক মরক্কোর। মুহুর্মুহু আক্রমণে তারা ব্যতিব্যস্ত রাখছে পর্তুগিজ রক্ষণকে।
ফলশ্রুতিতে গোলটাও পেয়ে গেছে মরোক্কানরা। ম্যাচের ৪২ মিনিটে ইয়াহইয়া আতিয়াত-আল্লাহর ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে গোল আদায় করে নেন ইউসেফ এন নেসিরি। তার গোলে ১-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গেছে অ্যাটলাস লায়নরা।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই পর্তুগাল বলের দখলে ছিল বেশি। যদিও আক্রমণ খুব একটা করতে পারেনি ২০০৬ সালের সেমিফাইনালিস্টরা। বরং প্রতি আক্রমণে মরক্কানরাই ত্রাস ছড়িয়েছে পর্তুগিজ রক্ষণে। সেটাও আবার একবার নয়, বহুবার।
তারই ফল মরক্কো পায় ম্যাচের ৪২ মিনিটে। আতিয়াত-আল্লাহর ক্রসে দারুণভাবে লাফিয়ে উঠে গোলটা করেন নেসিরি। মরক্কো এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
গোল হজম করে প্রথমার্ধ বিরতির আগ পর্যন্ত বেশ আক্রমণ করেছে পর্তুগাল। শেষ সময়ে ব্রুনো ফের্নান্দেস দারুণ এক শট করেছিলেন সমতাসূচক গোলের আশায়। তবে সেই শট গিয়ে প্রতিহত হয় ক্রসবারে। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় পর্তুগিজরা
Array