কোরিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিল সবশেষ দেখায় করেছিল ৫ গোল, জিতেছিল ৫-১ ব্যবধানে। নেইমাররা এবার বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই দলটির মুখোমুখি। গেল জুনের ম্যাচটা যেখানে শেষ করেছিল ব্রাজিল, আজ যেন শুরু করল সেখান থেকেই। ৩৫ মিনিটেই এশিয়ার দলটির জালে সেলেসাওরা জড়াল ৪ গোল!
চোট কাটিয়ে নেইমার ফিরেছেন এই ম্যাচে। কোচ তিতে শুরুর একাদশের বাকিদেরও ছুটিই দিয়েছিলেন আগের ম্যাচে। নেইমারকে ফিরে পাওয়ার অনুপ্রেরণা, সঙ্গে মহামূল্য বিশ্রামটা পেয়ে যেন আরও চনমনে হয়েই ফিরেছেন ভিনিসিয়াস, রাফিনিয়া, রিচার্লিসনরা। শুরু থেকেই ব্যতিব্যস্ত রেখেছেন প্রতিপক্ষ রক্ষণকে।
৭ মিনিটে সেলেসাওরা পেয়ে যায় তাদের প্রথম গোলটা। রাফিনিয়া ডান পাশ থেকে আক্রমণে উঠে এসে বক্সে বাড়ান নিচু ক্রস, দূরের পোস্টে ভিনিসিয়াস পান বলটা, আয়ত্বে নিয়ে তিনি শট নেন ফারপোস্টে, বলটা আছড়ে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে। প্রায় সাত মাস পর আন্তর্জাতিক গোলের দেখা পান রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
এরপর দ্বিতীয় গোলের জন্য সেলেসাওদের খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ১১ মিনিটে নিজেদের বিপদসীমায় রিচার্লিসনকে ফাউল করে কোরিয়ান রক্ষণ। পেনাল্টি যায় ব্রাজিলের পক্ষে। নেইমারের ঠাণ্ডা মাথায় নেওয়া পেনাল্টিটা ঠেকানোর সাধ্যই ছিল না কোরিয়ান গোলরক্ষক কিম সিউং-গিউর। ব্রাজিল এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।
দুই গোল পেয়ে ব্রাজিল সন্তুষ্ট হয়নি মোটেও। বরং আরও গোলের জন্য হন্যে হয়ে উঠেছে আক্রমণে। ২৯ মিনিটে পেয়ে যায় আরও এক গোল। থিয়াগো সিলভার বাড়ানো বল থেকে গোলটা করেন প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়ক রিচার্লিসন।
পরের গোলের জন্য সেলেসাওদের অপেক্ষাটা ছিল ৬ মিনিটের। এবার গোলের দেখা পান মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতা। রিচার্লিসন, নেইমার হয়ে ভিনিসিয়াসের কাছে আসে বলটা। বক্সে উঠে আসতে থাকা পাকেতাকে সুযোগ বাড়িয়ে দেন রিয়াল ফরোয়ার্ড, পাকেতাও সেটা লুফে নিতে ভুল করেননি। দারুণ এক ফিনিশে করেন চলতি আসরে নিজের প্রথম গোলটা। তাতেই ৩৫ মিনিটে চতুর্থ গোলের দেখা পেয়ে যায় তিতের দল।
Array