জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগ তুলে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের আদেশের জন্য মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
ওয়াসার এমডির দুর্নীতি নিয়ে দুদক কি তদন্ত করছে তার অগ্রগতি জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ওয়াসার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাছুম।
এর আগে রবিবার ওয়াসায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গতকাল এ রিট করেন।
পরে আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন বলেন, ওয়াসার এমডি গত ১৩ বছর ধরে পদে আছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি আছেন। এ সময়ে পানির দাম ৬ টাকা থেকে এখন ১৫ টাকা ইউনিটপ্রতি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে। তার পরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত হচ্ছে, আমি যতটুকু জানি দুদকেও অনুসন্ধান হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে যখন তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়, নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বরের মধ্যে ঘষামাজা ও জাল-জালিয়াতি করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এদিকে আজ আদালতে ওয়াসার এমডির পক্ষে তার আইনজীবী বলেন, ‘এমডির নিয়োগ আইন অনুসারেই হয়েছে। আর এই রিট জনস্বার্থে নাকি ব্যক্তিস্বার্থে সেটির উল্লেখ নেই। এর আগেও এমডির নিয়োগ সংক্রান্ত একটি রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়েছে। আর একটি বেঞ্চে ওয়াসার এমডির বেতন ও অপসারণ নিয়ে একটি রুল বিচারাধীন। তাই এখানে এই রিটের যৌক্তিকতা নেই।’
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘তাকসিম এ খানের বিষয়ে তদন্ত চলছে। কমিশনকে আপডেট জানাতে বলেছি। কাল জানাব।’
Array