বরিশাল ব্যুরো প্রতিনিধি: বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে কর্মীদের জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। পার্বত্য শান্তি চুক্তির রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রায় ছাত্রলীগের কর্মীরা অংশ নিতে আসার সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার দাবি, তিনি কর্মীদের কেবল শাসন করেছেন।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে নগর ভবনের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এ সময় বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব হোসেন খানের নেতৃত্বে একটি খণ্ড মিছিল নগর ভবনের সামনে আসছিল।
রাজীব হোসেনের নেতৃত্বে মিছিলটি ফজলুল হক অ্যাভিনিউ এলাকা অতিক্রম করার সময় দ্বিতীয় সারিতে থাকা কর্মীদের দিকে জুতা হাতে ছুটে যান তিনি। এরপর তিনি কয়েক কর্মীকে মারধর করেন। পরে আবার মিছিলটি নগর ভবনের দিকে চলে যায়।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘রাজীব হোসেনের মিছিলে কিছু কর্মী বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি করে। এতে রাজীব ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মীদের জুতাপেটা করেছেন। এছাড়া রাজীব হোসেন খানের অনুসারীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে কয়েকজন মহসিন মার্কেটের মধ্যে গিয়ে নিজেদের আত্মরক্ষা করেন। ওই হাতাহাতির ঘটনায় এক কর্মী মারাত্বক জখম হয়েছে বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব হোসেন খান বলেন, ‘আমি কর্মীদের একটু শাসন করেছি। আমাদের নেতারাও তো আমাদের শাসন করে। এটা তেমন কিছু না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ এক নেতা জানান, ‘আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ইতিমধ্যে বরিশাল নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের কর্মীদের বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে শৃঙ্খলা বজায় রেখে ছাত্ররাজনীতি করার তাগিদ দিয়ে থাকেন। তারপরও আজকের এরকম শান্তির সমাবেশে কিভাবে অশান্তি করে কিছু উশৃঙ্খল কর্মীরা এটা আমার বোধগম্য নয়। আর এদের নেতাই বা তাদের কি শিক্ষা দেয় যে জুতো পেটা করতে হবে?’
বরিশাল নগর ভবনের সামনে সমাবেশের পর শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
Array