রাজশাহী বিভাগে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। ধর্মঘটের প্রথম দিনেই অচল হয়ে পড়েছে রাজশাহী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজশাহী থেকে কোনো রুটে বাস ছেড়ে যায়নি। অন্য জেলা থেকে কোনো বাস রাজশাহীতে প্রবেশ করেনি। তবে বিআরটিসি বাস চলছে।
রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হবে আগামী ৩ ডিসেম্বর দুপুরে। তার আগেই বিভাগের ৮ জেলায় শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট।
গত ২৬ নভেম্বর নাটোরে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যৌথ সভায় এই ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিলেন সংগঠনটির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বিপ্লব।
এই ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অটোরিকশা বা বিকল্প যানবাহনে করে মানুষ গন্তব্যে যাচ্ছেন। অনেককে আবার রাজশাহী রেল স্টেশনে ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে।
ধর্মঘটের ফলে চাপ পড়েছে ট্রেনে। তাই বিভিন্ন রুটের ট্রেনের টিকিট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। টিকিট না পেয়ে দাঁড়িয়েই রওয়ানা দিচ্ছেন অনেকে।
এদিকে শনিবার রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ। ধর্মঘটের কারণে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীরাও পড়েছেন বিপাকে। পথে ভোগান্তি এড়াতে অনেকে বুধবার রাতেই সমাবেশস্থল মাদ্রাসা মাঠে চলে এসেছেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে আট শর্তে সমাবেশের অনুমতি পায় বিএনপি। আর সন্ধ্যার পর থেকে মাদ্রাসা মাঠের দিকে আসতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। তাদের অনেকে জানিয়েছেন, যেহেতু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে সে কারণে তারা আগের দিনই সমাবেশ স্থলে চলে এসেছেন।
গত শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে নাটোর শহরের কানাইখালি এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় তাদের ১১ দফা দাবি আদায়ে ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহীর আট জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। নাটোর জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, মূলত পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা সরকারকে এই পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে সহযোগিতা করতে চাইছেন। বিএনপির প্রত্যেকটা সমাবেশের আগেই বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় এমন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তবে এতকিছুর পরও মানুষ কোনো না কোনোভাবে গণসমাবেশে গেছেই এবং শতভাগ সফলও হয়েছে। তাই ধর্মঘট দেওয়া হোক, আর যা-ই দেওয়া হোক না কেন- রাজশাহীতে ৩ ডিসেম্বরের গণসমাবেশে জনস্রোত নামবে।
Array