অস্ট্রেলিয়াকে সারা বিশ্ব চেনে ক্রিকেটের দেশ হিসেবে। ক্রিকেটে ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেও সকারুরা ফুটবল বিশ্বকাপের মঞ্চে ঐভাবে মেলে ধরতে পারেনি। তবে কাতার বিশ্বকাপে এসে যেন নিজেদের জাত আবারো চেনালো অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো অস্ট্রেলিয়া। ইউরোপিয়ান জায়ান্ট ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়ে রানার্সআপ হয়ে গ্রুপ ‘ডি’ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে অজিরা।
ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে ডেনমার্ক। ম্যাচের ১৯ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় ডেনমার্ক। মাইহলে ডিবক্সের ভেতর শট নিলেও সেটি অজি গোলরক্ষক রায়ান সেভ করেন। ২১ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকগ্রির ভলি শট সোজা গিয়ে পড়ে স্মেইকেলের হাতে।
পুরো ম্যাচে মাঝমাঠ দখলে রাখে ডেনমার্ক। ৬৮% বল পজিশন নিয়েও তেমন গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ডেনমার্ক। অথচ এই দেশটাই কিনা বড় বড় ইউরোপিয়ান দলকে টপকে বিশ্বকাপে এসেছে। তাই নিজেদের জার্নি আরো দীর্ঘ করতে দ্বিতীয়ার্ধে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ কিছু করা ছাড়া আর উপায় নেই। অন্যদিকে জমাট রক্ষণভাগ দিয়ে ডেনমার্ককে বেশ ভালোভাবেই প্রথমার্ধে আটকে রাখত সক্ষম হয়েছে অজিরা।
মন্থর প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধ ছিল যেন উত্তেজনা ঠাসা। ৪৮ মিনিটে অস্ট্রেলিয়া ইরভিনের ক্রস থেকে ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে ম্যাকগ্রি শট নিলে তা চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে। দ্বিতীয় রাউন্ডে জেতে হলে এই ম্যাচ ড্র করলেই চলবে অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু ৫৭ মিনিটে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল দিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে যায় তিউনিসিয়া। যার দরুন এই ম্যাচে ড্র করলেও যদি কিন্তুর সমীকরণে পড়তে হতে পারে অস্ট্রেলিয়াকে। এমন চিন্তা মাথায় আসার আগেই সবকিছুকে জলাঞ্জলি দিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া।
৬০ মিনিটে ম্যাকগ্রির পাস থেকে বল পেয়ে বাম পাশ থেকে দারুণ শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন লেকি। এই গোলে গ্রুপের রানার্সআপ হওয়া নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সবচেয়ে বেশি গোলদাতা হলেন লেকি। ম্যাচের বাকিটা সময় গোলশোধের চেষ্টা করলেও পরিকল্পিত আক্রমণ করতে ব্যর্থ হয় ডেনমার্ক। ফলে বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘ডি’ থেকে রানার্সআপ হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে যায় অস্ট্রেলিয়া।
Array