জাবি প্রতিনিধি: বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন স্বর্ণপদক চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শিক্ষার্থীদেরকে স্বর্ণপদক প্রদানের লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের কাছে অধ্যাপক হাফিজা খাতুন ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন।’
হাফিজা খাতুন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী। বর্তমানে তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা যায়, হাফিজা খাতুন বিভিন্ন খেলায় দক্ষতা ও পারদর্শীতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলায় সর্বোচ্চ খেতাব “ব্লু” প্রাপ্ত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানকারী জাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাফিজা খাতুন প্রথম শিক্ষক।
হাফিজা খাতুনের কাছ থেকে চেক গ্রহণকালে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘এই স্বর্ণপদক চালু হওয়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াবিদরা অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ পাবেন। তারা ক্রীড়া নৈপুণ্যে আরও মনোযোগী হবেন। তিনি স্বর্ণপদক চালু করতে এগিয়ে আসায় ড. হাফিজা খাতুনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।’
এ সময় অধ্যাপক হাফিজা খাতুন বলেন, ‘খেলাধুলায় স্বর্ণপদক চালু করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মতিতে তিনি আনন্দিত। তিনি বিশ্বাস করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তাকে তৈরি করেছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিকশিত হয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি হৃদয়ে ধারণ করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজন হওয়াকে তিনি সৌভাগ্য ও দায়িত্ব মনে করেন।’
উপাচার্য অফিসে সকাল নয়টায় চেক হস্তান্তরকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মনজুরুল হক, রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজ, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার খসরু পারভেজ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ, অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, হাফিজা খাতুনের বড় ভাই আবুল হাসান মাসুদ, ছোট ভাই আবু মনজুর মোরশেদ এবং ভাতিজা আবু ফায়েজ মওদুদুল কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বেগম নাছরীন, উপ-পরিচালক আজমল আমীন, প্রাক্তন পরিচালক সিফাতুল্লাহ, হাবিবা ইয়াসমীন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি) এ বি এম আজিজুর রহমান প্রমুখ।
Array