আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শীর্ষ নেতা আবু হাসান আল-হাশিমি আল-কুরায়েশি যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) গণমাধ্যমগুলোতে পাঠানো আইএসের এক অডিওবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। খবর আলজাজিরার।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- আবু হাসান আল-হাশিমির মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করলেও, মৃত্যুর কারণ, সময় ও স্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি সুন্নিপন্থী সন্ত্রাসীগোষ্ঠীটি। অডিওবার্তায় কেবল বলা হয়েছে- ‘আল্লাহর শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধে তিনি শহীদ হয়েছেন।’
ইতোমধ্যে নতুন একজন শীর্ষ নেতাও বেছে নিয়েছে সুন্নিপন্থি এ শীর্ষ সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। নতুন নেতার নাম আবু আল-হোসাইন আল হোসাইনি আল কোরায়শি বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেই অডিওবার্তায়।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্টকম জানিয়েছে, আবু হাসান আল-হাশিমি আল-কুরায়েশি গত মধ্য অক্টোবরের দিকে নিহত হন।
সেন্টকমের কর্নেল জো বুকিনো মুখপাত্র বলেন, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্রাহী গোষ্ঠী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির অভিযানে আইএসের এই শীর্ষ নেতা নিহত হন। আইএস ওই অঞ্চলের জন্য হুমকি।
২০১৪ সালে উল্কার বেগে উত্থানের পর সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নিজেদের রাজ্য ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠিত করে আইএস। কিন্তু তিন বছরের মধ্যে, ২০১৭ সালে সিরিয়া অংশে নিজেদের অধিকৃত অধিকাংশ এলাকা হারায় এ সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। তার দুই বছর পর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে ইরাকের অধিকৃত অঞ্চলগুলোও তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়।
কিন্তু এই গোষ্ঠীর গোপন হামলাকারী দল বা ‘স্লিপার সেল’ এখনো সক্রিয় আছে এবং সিরিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে প্রায়ই তারা বোমা হামলা ও নাশকতা করে থাকে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের।
চলতি বছররের শুরুর দিকে উত্তর সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হন আইএসের সাবেক প্রধান আবু ইব্রাহিম আল কোরায়শি। সদ্য নিহত আবু হাসান আল কোরায়শির পূর্বসূরি ছিলেন তিনি।
আবু ইব্রাহিমের পূর্বসূরি আবু বকর আল বাগদাদিও নিহত হয়েছিলেন এই ইদলিবেই। ২০১৯ সালে ইদলিবে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছিলেন তিনি।
Array