পিঠ ও কোমরের ব্যথা বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। অনেক মানুষই আজকাল এ সমস্যায় ভুগছেন। অনেক সময় এই ব্যথা অসহ্য হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করলে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বা ওষুধ না খেয়েও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় পিঠ এবং কোমরের ব্যথা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কয়েকটি উপায় সম্পর্কে।
১. স্ট্রেচিং এবং শক্তি ব্যায়াম
পেটের মূল পেশীগুলো পিঠকে সাপোর্ট দিতে সহায়তা করে। কাঠিন্য এবং নমনীয়তা দুই-ই পিঠ এবং কোমরের ব্যথার উপশম বা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই স্ট্রেচিং এবং পিঠকে শক্তিশালী করার ব্যায়াম করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
২. সঠিক ভঙ্গি রাখুন
যদি পিঠে ব্যথা থাকে, তাহলে মেরুদণ্ডকে সোজা রাখতে আপনি টেপ, স্ট্র্যাপ বা স্ট্রেচি ব্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন। কাঁধ নাড়াবেন না বা চিবুক সামনের দিকে ঝোঁকাবেন না। যদি কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে কাজ করেন তাহলে হাত টেবিল বা ডেস্কে সমতল রাখুন। পাশাপাশি চোখ পর্দার উপরে রাখুন। মাথা কখনওই ঝোঁকাবেন না।
৩. সচল থাকা
পিঠের ব্যথায় যারা ভোগেন, তাদের অনেকেই মনে করেন যে তারা হয়ত আর স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন না। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনায় হাঁটাচলা স্বাভাবিক রাখলে তা পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। তাই যাদের পিঠে ব্যথা আছে তাদের প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। কারণ শরীর সক্রিয় না থাকলে মেরুদণ্ড এবং পিঠের চারপাশের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। যার জেরে ব্যথা হয়। আর শুধু তাই নয়, কোমরে ব্যথা থাকলেও হাঁটাচলা করুন।
৪. ওজন বজায় রাখুন
ওজন বেড়ে গেলে পিঠে ব্যথা হয়। তাই পিঠের ব্যথা এড়াতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে একজন ফিটনেস ট্রেনারের পরামর্শ নিতে পারেন।
৫. আইস প্যাক চেষ্টা করুন
পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আইস কম্প্রেসও একটি ভাল উপায়। যদি পিঠে ফোলা বা ব্যথা থাকে তবে বরফ সবচেয়ে বেশি উপশম দেয়। আর যদি শক্ত পেশী শিথিল করার চেষ্টা করেন তাহলে হিটিং প্যাড ব্যবহার করা ভাল।
৬. ধূমপান ত্যাগ করুন
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা ধূমপান করেন, তাদের মেরুদণ্ডের সমস্যার ঝুঁকি ৪ গুণ বেশি। সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের নিকোটিন মেরুদণ্ডের হাড়কে দুর্বল করে দিতে পারে।