- ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দলিল লেখকদের কর্মবিরতি চলছে।
উপজেলার মধ্যে দলিল কমিশনে অতিরিক্ত ফি দাবি, দলিল রেজিস্ট্রির সময় নানান অজুহাতে দলিল প্রতি অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও বিলম্বে অফিসে আসাসহ বিভিন্ন অভিযোগে রোববার (২৬ নভেম্বর) থেকে সাব-রেজিস্ট্রার ইয়াসমিন শিকদারের বিরদ্ধে এ কর্মবিরতি—বলে জানান দলিল লেখকরা। দলিল রেজিস্ট্রি না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে সাব-রেজিস্ট্রার তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক আক্তারুজ্জামান বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার ইয়াসমিন শিকদার শৈলকুপায় যোগদানের পর থেকে তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। উপজেলার মধ্যে কোন অসুস্থ ব্যক্তির দলিল রেজিস্ট্রি করতে গেলে দলিল কমিশন হিসাবে সরকারী ভাবে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্ত সে প্রতিটা দলিলে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে থাকেন। প্রতিদিন অফিসে যে দলিল রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে তাতে বিভিন্ন অজুহাত ধরে সেখানে প্রতি দলিলে তিনি ৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি বেলা ১২টার আগে অফিসে আসেন না বলেও জানান দলিল লেখক আক্তারুজ্জামান।
দলিল লেখক রবিউল ইসলাম সাবু জানান, তার লিখিত দলিলে ঢাকায় কমিশন করে রেজিস্ট্রার করতে তার নিকট থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ সরকারি কমিশন ফি ৯ হাজার টাকা। এছাড়াও নাবালক সন্তানের সমাপ্তি কোটার অনুমতি নিয়ে সন্তানের অভিভাবকরা জমি বিক্রি করতে গেলে সেখান থেকেও অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন সাব-রেজিস্ট্রার।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা জনসাধারণ অফিসে এসে দেখেন, দলিল লেখকদের কর্ম বিরতিচলছে। জমি রেজিস্ট্রি করতে না পারায় তারা দুর্ভোগে পড়েছেন বলে জানান।
অন্যদিকে অভিযোগ নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার বলেন, দলিল লেখকরা তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন এটা তাদের মনগড়া অভিযোগ। তিনি সরকারি নিয়মের বাইরে কোন দলিল রেজিস্ট্রি করেন না। অফিসে বিলম্বে আসা তার উর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষ জানেন বলেও জানান সাব-রেজিস্ট্রার ইয়াসমিন শিকদার।
দলিল লেখকদের কর্মবিরতি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বনি আমিন জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে কেউ তাকে লিখিত ভাবে বিষয়টি অবগত করেননি বলে জানান।
Array