নিজস্ব প্রতিবেদক /
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে বিসমিল্লাহ গ্রুপের ১১০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির মামলায় দীর্ঘ সময়েও তদন্ত শেষ না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। ব্যাংকটির সাবেক কর্মকর্তা এ এস এম হাসানুল কবিরের জামিন বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে এই অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত।
হাইকোর্ট দুর্নীত দমন কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ২০১৩ সালে এই মামলা হয়েছে। এতদিনেও মামলাটিরতদন্ত শেষ হয়নি কেন? ঋণখেলাপিরা আইনের চেয়ে শক্তিশালী নয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন। হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছে, আপনারা ধরছেন না কেন? যারা বড় বড় ঋণখেলাপি, তারা কি বিচারের ঊর্ধ্বে থাকবে? যারা অর্থশালী তারা কি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে? দুদক রাঘববোয়ালদের নয়, শুধু চুনোপুঁটিদের ধরতে ব্যস্ত।
রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
২০১২ ও ২০১৩ সালে বিসমিল্লাহ গ্রুপ ৫টি ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে। পরে ভুয়া এলসির মাধ্যমে পুরো অর্থই বিদেশে পাচার করে।
যেসব ব্যাংক থেকে গ্রুপটি ঋণ নিয়েছে সেগুলো হচ্ছে- জনতা ব্যাংক থেকে ৫২৭ কোটি, প্রাইম ব্যাংক ৩২৭ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক ৬১ কোটি, যমুনা ব্যাংক ১৫৪ কোটি এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১১০ কোটি টাকা।
এসব ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি-চেয়ারম্যানসহ গ্রুপের অন্যান্য কর্মকর্তা ও গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে।
Array