নিজস্ব প্রতিবেদক /
রাজশাহী নগরের খানসামার চক এলাকায় একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই ভবনে থাকা একটি কনভেনশন সেন্টার ও কার কেয়ার সেন্টার নামের একটি সারাইখানায় রাখা পাঁচটি কার পুড়ে গেছে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ভোররাতে ১১তলা ওই ভবন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই দফায় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুর রউফ । তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আবদুর রউফ বলেন, ‘ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে তারা আগুনের খবর পেয়েছেন। তিন মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবার কার কেয়ার সেন্টার থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আবার ঘটনাস্থলে এসে ধোঁয়ার উৎস বের করে তা নির্মূল করেন।’
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, কার কেয়ার সেন্টার মূলত গাড়ি সারাই ও গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সেখানে রাখা পাঁচটি কারসহ সেখানকার সব যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ওই সারাইখানার সঙ্গে লাগোয়া ১১তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় আছে তোফা কনভেনশন সেন্টার। দুর্ঘটনায় ওই কনভেনশন সেন্টার আসবাবসহ সব মালামাল পুড়ে নষ্ট গেছে। আবাসিক ভবনের চারতলা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবাসিক ভবনের একটি ফ্ল্যাটের মালিক বলেন, ‘১১তলা ভবনের সঙ্গেই মালিকপক্ষ কার কেয়ার সেন্টার তৈরি করেছেন। আবাসিক ভবন এবং ওই প্রতিষ্ঠানের একই বৈদ্যুতিক ও পানির সংযোগ। কার কেয়ার সেন্টারের আলাদা কোনো দেয়ালও নেই। আবাসিক ভবনের দেয়ালের সঙ্গে কোনো ফাঁক না রেখেই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। ওই আবাসিক ভবনে ৪২টি পরিবারের প্রায় ২০০ মানুষ বাস করে।’
এ ব্যাপারে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজড কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কার কেয়ার সেন্টারের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা অবশ্যই আলাদা হওয়া উচিত। মালিকপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না।’
Array