‘প্রায় সাত বছর ধরে ওর সঙ্গে সম্পর্ক। এই সাত বছরে কখনো তার সম্মানহানি হয় এমন কোনো কথা কখনো কোথাও বলিনি। তার সম্মান যেনো ঠিক থাকে সর্বদা সেদিকে খেয়াল করে চলেছি। তার অনুমতি নিয়েই অন্য নায়কদের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু তাতে কি হলো? সে তো একের পর এক মন্তব্য করে আমার সম্মানহানি করছে। আমার ইমেজ নষ্ট করছে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) কান্না জড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী শবনম বুবলী। শাকিব খান ইস্যুতে আর চুপ থাকতে চাননা এই নায়িকা। নিজের সম্মানের কথা ভেবে, বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা ভেবে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত কথা বলতে চান বলেই জানালেন।
যদিও এই সংবাদ সম্মেলন কবে নাগাদ করতে পারেন তার নির্ধারিত তারিখ বলেননি তিনি। শুধু বলেছেন, যা হচ্ছে তার তো একটা বিহিত দরকার। এভাবে আর কত?
বুবলী বলেন, ‘দুই দিন পর পর আমাকে নিয়ে এভাবে মন্তব্য করা তো মেনে নেওয়া যায় না। আমি তো সব কিছু ঠিক রাখতে কম চেষ্টা করছি। যখন তার সঙ্গে যোগাযোগ থাকে তখন এক রকম। আবার একটু দূরে এলেই আরেক রকম। কিন্তু আমি তো তার সম্মান হেয় হয় এমন কখনও কিছু বলিনি, করিওনি। তাহলে আমাকে নিয়ে কেনো একের পর এক এভাবে মন্তব্য! তাই ভাবছি এখন আমার উচিত বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা। না হলে সবাই আমাকে ভুল বুঝবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর ছিল বুবলীর জন্মদিন। ওই দিন সংবাদমাধ্যমে বুবলী জানান, শেহজাদ খান বীরের বাবার কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেয়েছেন তিনি। এরপরই শাকিব খান গণমাধ্যমে জানান, তিনি বুবলীকে নাকফুল দেননি। তার সঙ্গে বুবলীর ছেলের বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে যোগাযোগও হয়না।
নিজের বর্তমান স্ত্রী ও সন্তানের মাকে এভাবে হেয় করে মন্তব্য দেওয়াটা নিতে পারেনি বুবলী। নিতে পারেননি খোদ শাকিব ভক্তরাও। অনেকেই প্রশ্ন রাখছেন, নিজের ঘরের এ বিষয়গুলো শাকিব খানের উচিত ঘরের মধ্যেই সমাধান করা। স্ত্রীকে নাকফুল দেওয়া বা না দেওয়ার বিষয়টি কেনো গণমাধ্যমের বরাতে জানাতে হবে?
Array