• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • সমাবেশের নামে পিকনিক করছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী 

     ajkalerbarta 
    20th Nov 2022 9:32 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিএনপি সমাবেশের নামে আসলে বড় পিকনিক করছে এবং সে জন্য চাঁদাবাজি করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    রবিবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির সমাবেশগুলো আসলে বড় পিকনিক। সিলেটের সমাবেশে তারা তিন দিন আগে গেছে। হোটেলে খাওয়া দাওয়া, তাস খেলা আবার মাঠের মধ্যে তাঁবু টানিয়ে রান্নাবান্না করে খেয়েছে। এটা একটা বড় পিকনিক।

    তিনি বলেন, ‘শীতের সময় আমরা যেমন পিকনিকে যেতাম, বিএনপির নেতাকর্মীরাও শুধু সিলেট অঞ্চল থেকে নয়—কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, ঢাকা থেকেও গেছে এবং সেখানে গিয়ে সমাবেশের নামে বড় পিকনিক করেছে। এগুলোর জন্য সারা দেশে চাঁদাবাজি করছে। অনেক ব্যবসায়ী আমাদের অভিযোগ দিয়েছেন—বিএনপি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে বা করার চেষ্টা করছে।’ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    সাংবাদিকতার নামে কারও রাজনীতি করা উচিত নয় উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘গতকাল সিলেটে বিএনপির এবং ঢাকার গাজীপুরে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ হয়েছে এবং উপস্থিতির বিচারে দুটি সমাবেশেই সমপরিমাণ লোকসমাগম হয়েছে, বরং গাজীপুরের সমাবেশে কারও কারও মতে—বিএনপির সিলেটের সমাবেশের চেয়ে বেশি মানুষ হয়েছে। যদিও বা সেটি কোনও বিভাগীয় বা জেলা সমাবেশ নয়, সেটি ছিল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। কিন্তু কোনও কোনও কাগজে, অনলাইনে দেখলাম গাজীপুরের সমাবেশের ছবিটা দিয়েছে মঞ্চের এবং দর্শকের একটা অংশ মাত্র। আর বিএনপির সমাবেশের ছবিটা দূর থেকে নিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে মনে হয় অনেক লোক হয়েছে। অবশ্যই বিএনপির সমাবেশ হবে, সেটি পত্রপত্রিকায় প্রচার পাবে। কিন্তু এ ধরনের উপস্থাপনা সমীচীন কিনা আপনাদের কাছে প্রশ্ন।’

    এ ক্ষেত্রে বিএনপির প্রভাব বা অর্থায়ন আছে কিনা প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দলের কোনও ইনভেস্টমেন্ট আছে কিনা, কিংবা বিরোধীদল যে জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিরোধী দলের হয়ে সেই জঙ্গিদের কোনও অর্থায়ন আছে কিনা, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। তবে আমি আশা করবো, শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের এ ধরনের অপসাংবাদিকতা করা উচিত নয়, বা সাংবাদিকতার নামে রাজনীতি করা সমীচীন নয়। অনেক সময় দেখা যায়, সাংবাদিকরা হাউজে যে রিপোর্ট, যে ছবি দিয়েছেন—সেটি এডিটিং প্যানেলে গিয়ে পরিবর্তন হয়ে যায়। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’

    ১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া হলে বিএনপি সারা ঢাকা শহরে সমাবেশ করবে—এ মন্তব্যের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘বিএনপি যে ধরনের গণসমাবেশ করতে চায়, সে জন্য উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে পূর্বাচল। এছাড়া মিরপুর ও বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়েও জায়গা আছে, সেগুলোও অনেকে বলছে। বিএনপি যে সভা সমাবেশ করছে, সরকার তাদের সর্বতোভাবে সহায়তা করছে। গতকাল সিলেট শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ ছিল, যাতে তারা নির্বিঘ্নে সভা সমাবেশ করতে পারে। আর আমরা যখন সভা সমাবেশ করতাম, তখন পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিপেটা করতো, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতো, আর বিএনপি আমাদের সমাবেশে বোমা ছুড়তো। এটিই হচ্ছে তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য।’

    বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনও সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। নিয়ন্ত্রণ করি না, করাও হবে না। কিন্তু সমাবেশের নামে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা করে, তাহলে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের স্বার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। আমরা অতীতেও দেখেছি, বিএনপি সমাবেশের নামে নানা জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। বাস ট্রাক পুড়িয়েছে মানুষ পুড়িয়েছে। আর ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। বিজয়ের মাসে ১০ ডিসেম্বর যদি পাকিস্তানপন্থী বিএনপির লোকজন, মির্জা ফখরুলরা ঢাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায়, জনগণ তাদের পাকিস্তানিদের মতোই আত্মসমর্পণ করাবে।’

    বিএনপি মহাসচিবের এদিনের বক্তব্য ‘বিএনপি তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো দেশ স্বাধীন করবে’- এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘তারেক রহমানের কথা বললেই মানুষ আঁতকে ওঠে। এ দেশের মানুষের কাছে তারেক রহমান হচ্ছে দুর্নীতির প্রতীক, সন্ত্রাসের প্রতীক, নৈরাজ্যের প্রতীক। তারেক রহমান দেশকে পর পর দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করার প্রতীক, হাওয়া ভবনের লুটপাটের প্রতীক এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে উনারা দেশে আন্দোলন করবেন, অর্থাৎ তারা আবার জ্বালাও-পোড়াও শুরু করবে, আবার মানুষ পোড়াবে। জনগণ এগুলো হতে দেবে না। তারা যতই তারেক রহমানের কথা বলে, ততই তারা জনগণ থেকে দূরে সরে যায়।’

    বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ ‘সরকার গায়েবি মামলা করছে’-এর পরিপ্রেক্ষিতে ড. হাছান বলেন, ‘সরকার কোনও গায়েবি মামলা করছে না। বরং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গায়েবি কথাবার্তা বলছেন। আগের মামলায় যারা জামিনে আছে, তাদের কিছুই করা হচ্ছে না, যাদের জামিন বাতিল হয়েছে, তাদের তো পুলিশ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ধরবে।’

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2022
    M T W T F S S
     123456
    78910111213
    14151617181920
    21222324252627
    282930