- স্টাফ রিপোর্টার /
জার্সি নেই। হয়তো কেনার সামর্থও নেই। তাতে কি! যে গেঞ্জিটি গায়ে পরে রয়েছে সেটাতে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা মেসির নাম লিখেই ফেলা যায়। আর মেসির জার্সি নম্বর ১০ লিখে ফেললেই তো হয়। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। সেটাই কাউকে দিয়ে করে ফেললো হিরা। ‘হিরা’ এই নামটা একদম অনুমান করে বলা। কেননা জার্সির নম্বর ১০ লেখার নিচে লেখা আছে হিরা।
ভালোবাসা এক অদ্ভুত রো’গ। মেসির প্রতি ভালোবাসায় আক্রা’ন্ত এক শহরের নাম রোসারিও। যেখানে কোনো শিশুর নাম ‘মেসি’ রাখাই নিষি’দ্ধ করা হয়েছে। আরো বছর নয়েক আগে।
আর্জেন্টিনা তারকা লিওনেল মেসির নিজের শহর রোসারিওতে নিষি’দ্ধ করা হয়েছে ‘মেসি’ নামটি। শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে নবজাতকদের ‘মেসি’ নাম রাখার ওপর এই নিষেধা’জ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কেননা মেসি নাম রাখার ধুম পড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে সেখানের প্রশাসনের।
ভালোবাসা অজান্তে পেরিয়ে যায় সীমান্ত। রোসারিও, বুয়েন্স আয়ার্স থেকে কাবুল কিংবা দিনাজপুর। ধূসর, মলিন হয়ে যাওয়া গেঞ্জির পেছনে বলপয়েন্ট দিয়ে ঘষে ঘষে লেখা ‘মেছি’। তার নিচে জার্সি নম্বর। শিশুটি বসে আছে সিমেন্টের বসার জাগায়।
পেছন থেকে মোবাইলে তোলা এক পথশিশুর ছবি ঘুরছে বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাব গ্রুপ ও ফেসবুক পেইজগুলোতে। অনেকেই মেসির প্রতি ভালোবাসা কেমন এটা বোঝাতে ছবিটি ব্যবহার করছেন। ইতোমধ্যে ছবিটি অনেকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আর্হজেন্টাইন ভক্তরা নানা প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছেন। আর্জেন্টিনা সমর্থন করে খোলা একটি ফেসবুক পেইজ জানতে চেয়েছে শিশুটির নাম কী? সে কোথায় থাকে?
নেটিজেনরা বলছেন শিশুটির ছবিটি তোলা হয়েছে দিনাজপুরের বিরল রেলওয়ে স্টেশনে। কিন্তু আদতে এটার সত্যতা জানা যায়নি। ছবিটি ছড়িয়ে যাওয়ার পরে, অনেকেই শিশুটিকে মেসির একটি জার্সি কিনে দিতে চাইছে। যদিও এই ছবিটি সম্প্রতি সময়ের নয়। ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে আরও ৪-৫ মাস আগেই। যেহেতু, এখন কাতার বিশ্বকাপ এই ছবিটিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে ঘুরপাক খাচ্ছে।
Array